শেষ আপডেট: 19th October 2024 20:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বছরের পর বছর চলে অক্লান্ত পরিশ্রম। তারপরে দেখা মেলে অভাবনীয় সব আবিষ্কারের। নিজের নামে একটা নোবেল পুরস্কার অর্জন করতে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষা করেন কয়েক দশক। অথচ তাঁদের সেই আবিষ্কার দৈনন্দিন কাজে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছে মানুষ। চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্যের পুরস্কারগুলো সুইডেনেই দেওয়া হয়। চলতি বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টন। রসায়নে নোবেল পেয়েছেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। সাহিত্যে এই পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। অর্থনীতিতে এই সম্মান নিজেদের করে নিয়েছেন তিন অর্থনীতিবিদ- ড্যারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ. রবিনসন।
তবে কোনও দিনই নোবেলের তালিকায় নিজেদের নাম লেখাতে পারেননি, এমনও অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা রয়েছে। তাঁরা হলেন-
বিক্রম সারাভাই
বিক্রম সারাভাইকে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তাঁর অভাবনীয় আবিষ্কার করেছেন মহাকাশ নিয়ে। বিক্রম মহাকাশের ক্ষেত্রে শুধু ভারতকেই নয়, বিশ্বকেও অনেক উপহার দিয়েছেন। তবে অবাক করা বিষয় হল তিনি তাঁর ঝুলিতে কোনও নোবেল পুরষ্কার নেই।
থমাস এডিসন
ফোনোগ্রাফ, লাইট বাল্ব এবং মোশন পিকচার এই শব্দগুলির ব্যবহার বর্তমানে প্রচুর। এই চেনা শব্দের আবিষ্কারক কে? বিজ্ঞানী থমাস এডিসন। এত কিছু উদ্ভাবনের পরেও এই আমেরিকান উদ্ভাবকের ঝুলিতে কোনও নোবেল পুরস্কার পাননি তিনি।
জোসেলিন বেল বার্নেল
মহাকাশ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে যার নাম একেবারেই না বললে নয়, তিনি হলেন জোসেলিন বেল বার্নেল। পালসার রহস্যের সমাধান করেছেন করে মহাকাশ বিজ্ঞানকে এক নতুন পথে নিয়ে গিয়েছেন। আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞান তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য ঋণী। অবাক করা ব্যাপার হল তিনি কোনও নোবেল পুরস্কার পাননি।
নিকোলা টেসলা
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত, বাড়িতে, অফিসে সব জায়গায় যে এসি চলে, সেই যন্ত্রের আবিষ্কারক কে জানা আছে? শুধু এসি নয়, রেডিও-র মতো বৈদ্যুতিক সিস্টেম এবং বেতার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিকোল টেসলার নাম সবার আগে আসে। এত কিছু আবিষ্কারের পরেও তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন
ডিএনএ গঠন থেকে শুরু করে জিন, একের পর এক আবিষ্কার করে গিয়েছেন বিজ্ঞানী রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন। জিন সম্পর্কে বিশ্বকে বিশেষ বিশেষ তথ্য দিয়েছেন। তাঁর এই অভাবনীয় আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানকে অন্য রাস্তা দেখিয়েছে। কিন্তু যখনই নোবেল পুরস্কারের কথা এসেছে, তখন তার অবদান ভুলে যাওয়া হয়েছে। ফলে নোবেল জয়ীদের তালিকায় নিজেকে রাখতে পারেননি কখনওই।