শেষ আপডেট: 9th November 2024 22:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবারের 'মিনি ডার্বি' গোলশূন্য ড্র হল। তবে এই জয় ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলের কাছে জয়ের থেকে যে কোনও অংশে কম নয়, তা বলাই বাহুল্য। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যেক ফুটবলার নিজেদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিলেন। তবে এই ম্য়াচে আলাদা করে নজর কাড়লেন লাল-হলুদের কাস্টডিয়ান প্রভসুখন সিং গিল।
এই ম্য়াচে প্রথম আধঘণ্টার মধ্যেই জোড়া হলুদ কার্ড দেখে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু, বাকি ম্যাচে যেভাবে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স লড়াই করল তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটা মনে রাখার মতো সেভ করলেন ইস্টবেঙ্গলের এই গোলরক্ষক। ম্যাচের শেষে লাল-হলুদ সমর্থকরা তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
১৩ নম্বর জার্সির এই ফুটবলার চণ্ডীগড় ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। লাল-হলুদ ব্রিগেডে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইন্ডিয়ান অ্যারোজ, বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলেছেন।
২০২৩ সালে প্রভসুখন ইস্টবেঙ্গল দলে যোগ দিয়েছিলেন। শুরু থেকেই ভাল পারফরম্য়ান্স করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত লাল-হলুদ জার্সিতে মোট ২১ ম্য়াচ খেলেছেন তিনি। তবে মহমেডানের বিরুদ্ধে এই ম্য়াচটি তাঁর জীবনে যে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, সেটা আর আলাদা করে বলার দরকার নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে প্রভসুখন গিলকে দলে নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, ১.২ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড তাঁকে সই করিয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে প্রভসুখনের তিন বছরের চুক্তি হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়েও তিনি নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছিলেন। দক্ষিণ ভারতের এই ফুটবল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রভসুখন ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত খেলেন। ২০২১-২২ আইএসএল মরশুমে প্রভসুখন গিলকে সোনার গ্লাভস দেওয়া হয়েছিল। ওই মরশুমে কেরালার হয়ে ২৫ ম্য়াচে তিনি মোট সাতটি ক্লিনশিট আদায় করেছিলেন।
২০১৯ সালে প্রভসুখন বেঙ্গালুরু এফসি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এই ক্লাবের হয়ে তিনি মাত্র দুটো ম্য়াচই খেলেন। এরমধ্যে একটা আবার এএফসি কোয়ালিফায়ারে পারো এফসি-র বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।
প্রসঙ্গত, তাঁর ভাই গুরসিমরত সিং গিলও একজন পেশাদার ফুটবলার। তিনিও ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন। এই দুই গিল ব্রাদার্স ২০১৯-২০ মরশুমে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়েও একসঙ্গে খেলেছিলেন।