শেষ আপডেট: 30th December 2024 15:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো : অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্ট ম্যাচে হেরে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। যদিও এই ম্যাচের একমাত্র প্রাপ্তি নীতীশ রেড্ডির সেঞ্চুরি। এই টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি ইতিহাস রচনা করেছেন।
বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম শতরানটা করেন। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে শতরান করলেন তিনি। নীতীশ কুমার রেড্ডির কাছে এই সেঞ্চুরিটা আরও বেশি স্পেশাল ছিল, কারণ স্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর বাবা। ছেলের সাফল্য দেখে তিনি আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
ম্যাচ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নীতীশের বাবার কাছে একটি ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আসেন। সেইসময় তাঁর বাবা বলেন, 'একটা সময় ও নিজের রাজ্যের হয়ে অনূর্ধ্ব-১২ এবং অনূর্ধ্ব-১৪ খেলত। আর আজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। এটা আমাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।'
ইতিমধ্যে গিলক্রিস্ট তাঁকে প্রশ্ন করেন যে নীতীশ যখন ৯৯ রানে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়িয়ে ছিল এবং মহম্মদ সিরাজ ব্যাট করছিল, তখন মনের মনে ঠিক কী চলছিল?
এর জবাবে নীতীশের বাবা বললেন, 'আমি অত্যন্ত টেনশনে ছিলাম। শেষ উইকেট আর বাকি ছিল। আর স্ট্রাইকে ছিল সিরাজ। টেনশনই টেনশন ছিল।'
তবে নীতীশ কুমার রেড্ডির কাছে সাফল্যের এই রাস্তা খুব একটা সহজ ছিল না। ইতিপূর্বে এই ভারতীয় ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে বাবার অবদান অনস্বীকার্য।
বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া একটি ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেন, 'সত্যিই বলছি, ছোটবেলায় আমি ক্রিকেট নিয়ে অতটাও সিরিয়াস ছিলাম না। কিন্তু, আমাকে ক্রিকেট শেখানোর জন্য বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার এই সাফল্যের পিছনে ওঁর প্রচুর অবদান রয়েছে।'
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, 'একদিন তো সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে বাবাকে কাঁদতেও দেখেছিলাম আমি। এরপর থেকেই ক্রিকেট খেলাকে আমি সিরিয়াসলি গ্রহণ করতে শুরু করি। আমি যখন প্রথম জার্সিটা ওঁর হাতে তুলে দিয়েছিলাম, তখন বাবার চোখে-মুখে খুশি দেখার মতো ছিল।'