আফ্রিকায় ভয়াবহ খরা
শেষ আপডেট: 21st September 2024 12:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আফ্রিকায় ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। ১৯৮১ সালের পরে এমন খরা দেখা যায়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে শুষ্ক ছিল। তার ফলে বতসোয়ানা এবং অ্যাঙ্গোলার কিছু এলাকার উপর তার প্রভাব পড়েছে। জাম্বিয়া, মালাউই, জিম্বাবুয়ে, মালি, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিকের মতো আফ্রিকান দেশগুলো গত চার দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে এই খরা। আর তা এখনও চলছে। বৃষ্টির নামমাত্র নেই। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এল নিনোর কারণে গোটা আফ্রিকায় বিরাট প্রভাব পড়েছে। আর তা আরও বাড়তে পারে।
ইউরোপের দেশগুলোতেও একই ধরনের আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। এল নিনোর কারণে নেদারল্যান্ডস, সুইডেনও ভয়াবহ খরার সামনে পড়বে। ইতিমধ্যেই কোন কোন দেশে এই এল নিনোর প্রকপে পড়বে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কী এই এল নিনো? 'এল নিনো' স্প্যানিশ শব্দ। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব প্রান্তের জলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে জলের তাপমাত্রা। জলের তাপমাত্রা বাড়লে সমূহ বিপদ।
হিসেব অনুযায়ী, মহাসাগরের জল গরম হলে, তার প্রভাব পড়ে বায়ুমণ্ডলেও। এই প্রভাব শুধু প্রশান্ত মহাসাগরে নয়, গোটা বিশ্বেই পড়ছে। এল নিনোর কারণে আফ্রিকার দেশগুলোতে দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি।
চারিদিকে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। কোনও ফসল নেই। নদীগুলোও শুকিয়ে গিয়েছে। জলের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী,গুজরাট থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সর্বত্রই বাড়ছে তাপমাত্রা।
২০১৪-২০১৫ সালে এল নিনোর দাপটে ২০১৬ সালে উষ্ণতম বছর পেয়েছিল বিশ্ব। আবার হাজির এল নিনো। তাই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও উষ্ণতম বছর পেবে বিশ্ব। অর্থাত্ ক্রমে গরম বাড়বে।