শেষ আপডেট: 29th January 2025 17:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মৌনী অমাবস্যার পুণ্য তিথিতে মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে হয় হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। গুরুতর আহত একাধিক। লেন্সবন্দি হয়েছে এই মর্মান্তিক ঘটনার কিছু অংশ। অনেকেই বলছেন, শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। তবে, কুম্ভমেলায় এমন দুর্ঘটনা নতুন নয়। মেলার ইতিহাস বলছে, এর আগেও পুণ্যস্নানে এসে পদপিষ্ট হয়েছেন বহু মানুষ। শিকার হয়েছেন দুর্ঘটনার। ১৯৫৪ সালের প্রথম কুম্ভমেলা থেকে ২০২৫, তালিকাটা খুব একটা ছোট নয়।
১৯৫৪
স্বাধীনতার পর প্রথম কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়েছিল এলাহাবাদ অর্থাৎ বর্তমানের প্রয়াগরাজে। ৩ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হতেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। আয়োজনে খামতি না থাকলেও ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেসময়। প্রায় ৮০০ জন হয় পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন নাহয় নদীর জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন।
১৯৮৬
তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর সিং। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে তিনি নদীতে স্নান করতে নেমেছিলেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছিল। আটকে দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি জায়গা। যার ফলে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এক দুজন নয়। কমপক্ষে প্রায় ২০০ জন পদপিষ্ট হন। হরিদ্বারের এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল দেশে।
২০০৩
মহারাষ্ট্রের নাসিকে আয়োজিত হয়েছিল কুম্ভমেলা। সালটা ২০০৩। গোদাবরী নদীতে স্নান করতে একত্র হয়েছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩৯ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ জন।
২০১৩
২০০৩-এর ঘটনা তখন ভুলতে বসেছে লোকজন। ফের কুম্ভমেলার জন্য তৈরি হয়েছেন। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, এলাহাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ভিড়ে ঠেলায় ভেঙে পড়ে ফুটব্রিজ। যার ফলে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৪২ জনের। ৪৫ জন আহত হন।
২০২৫
বুধবার রাত ২টোর সময় সঙ্গমে স্নান করার সময় থিকথিক করছিল লোক। মাঝরাতেই পদপিষ্ট হন একাধিক। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১০ জনের।