ছোটবেলায় মেসিকে সবাই 'দ্য পুলগা' বলে অপমান করত। তাঁকে সবাই কীটপতঙ্গের সঙ্গে তুলনা করত। কারণ, অন্যদের তুলনায় লিও অনেকটাই দুর্বল ছিলেন।
মাত্র ১১ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার এই ফুটবল তারকার শরীরে এক বিরল রোগ ধরা পড়ে। তাঁর শরীরে 'গ্রোথ হরমোন'-এর ঘাটতি রয়েছে। দেখতে ছোটখাট হওয়ার কারণে তাঁর নিজের দাদা 'পোকামাকড়' বলে অপমান করতেন।
কিন্তু, হাল ছাড়েননি ছোট্ট লিও। ছোটবেলা থেকেই নিজের বড় ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ফুটবল দক্ষতা মুখে মুখে ছড়াতে শুরু করে। একটা বিষয় মেসি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে শারীরিক উচ্চতা ছাড়াও তাঁর প্রতিভা নিয়ে আলোচনা হোক।
কিন্তু, ছোটবেলায় সেভাবে খেলার সুযোগ পেতেন না তিনি। পাড়া ফুটবলে যা হয় আর কী! এমনকী রোজারিও'র স্কুলেও ফুটবল খেলতে নেমে তিনি অপমানিত হয়েছিলেন। মিরর পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শারীরিক উচ্চতা বেশি না হওয়ার কারণে তাঁকে কেউই দলে নিতে চাইত না।
সূত্রের খবর, এরপর মেসি গ্রোথ হরমোন ইঞ্জেকশন নিতে শুরু করেন। তারপরই কেল্লাফতে! ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার একটি ট্রায়ালে সুযোগ পান লিও। এরপর থেকে তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্যের শৃঙ্গ অর্জন করেছেন তিনি। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি ৮৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন।