শেষ আপডেট: 30th November 2024 16:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একবার শুধু সলমন খানের স্টাইল এবং ক্যারিশমার কথা ভাবুন! আর তারপর তার সঙ্গে ‘বাঙালি-বাঙালি’ হাবভাব অ্যাড অন করুন।
দেখবেন, বাংলার এক সুপারস্টারের মিল পাবেনই. পাবেন। কে সে? জিৎ আবার কে! তাঁকে আজ বাংলা কমার্শিয়াল ছবির ‘কর্ণধার’ বললেও, খুব ভুল হবে না!
তবে, কেরিয়ারের প্রথমদিকে তেমন সাফল্য না এলেও ২০০২ সালে বক্স-অফিস প্রায় ফেটে পড়েছিল তাঁর একটি ছবিতেই। ‘সাথী’ সাথ ছাড়েননি অভিনেতার। অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মান এসেছিল স্বাভাবিকভাবে। ‘নাটের গুরু’, ‘জোর’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘দুই পৃথিবী’ এবং ‘বস: বর্ন টু রুল’ ব্যবসায়িকভাবে সাফল্যের মুখ দেখেছিল। ৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘সাথী’। টলিউডের সেরা বক্স অফিস কালেকশন!
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ‘সঙ্গী’, ‘নাটের গুরু’, ‘বন্ধন’, ‘ঘাতক’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘প্রেমী’ থেকে শুরু করে ‘দুই পৃথিবী’, ‘সুলতান’, ‘বস’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘অসুর’।
রোম্যান্টিক বা অ্যাকশন, জিৎ ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ টলিউড।
আজ তাঁর জন্মদিনে জেনে নিন সুপারস্টার জিতের ৬ অজানা জীবনগল্প!
ডেবিউ ‘সঙ্গী’
টলিউডের দুই অভিনেত্রীর শুরুটা হয়েছিল জিতার হাতধরেই। হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘নাটের গুরু’ ছবির মাধ্যমে রঞ্জিত মল্লিক কন্যা কোয়েলের আত্মপ্রকাশ। পরের দিকে একের পর এক হিট ছবির অংশ হয়ে থেকেছেন কোয়েল। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শুটিং সেটে জিত মানেই ঠাট্টা এবং মস্করাষ শুটিং যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়, ওটা ছাড়া। শুধু কোয়েন নন, জিত অভিনীত ছবি ‘রাবণ’-এ ডেবিউ করেন অভিনেত্রী লহমা ভট্টাচার্যও।
সত্যিই স্বস্তিকা!
এক বিতর্কিত বিবাহ বিচ্ছেদের ঠিক পরপর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় জিতের বিপরীতে ‘মস্তান’ ছবিতে অভিনয় করেন। এবং নতুন জুটি সপারহিট হয়ে যায়। ঐর কয়েকদিনের মধ্যেই ‘টক অফ দ্য টাউন! মেলে টলিউডের হটেস্ট দম্পতি খেতাব, প্রায়শই একসাথে পার্টি কিংবা গভীর রাতের শোয়ে একসঙ্গে দেখে যেত তাঁদের। তবে, সময় পেরোতে, সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে, তবে কেন এমন হল তার রহস্য ভেদ করা যায়নি! তবে অনেকের মতে জিত-কোয়েলের কেমিস্ট্রি এই বিচ্ছেদের কারণ ছিল!
তেলুগুতে কাত!
তেলুগু ছবিতে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন জিতেন্দ্র মাদনানি। সেই ছবির নাম ‘চান্দু’। তবে বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ‘চান্দু’। হতাশ হয়ে জিতেন্দ্র ফিরে আসেন কলকাতায়। সেখানেই তার জীবনের দ্বিতীয় এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস শুরু হয়! হরনাথ চক্রবর্তীর ‘সাথী’ ছবির নায়ক হয়ে জিতেন্দ্র থেকে তিনি হয়ে ওঠেন জিৎ। বাকিটা ইতিহাস।
‘স্পোর্টিং’ সুপারস্টার!
ক্রিকেট থেকে ক্যারম! অর্থাৎ ইন্ডোর থেকে আউটডোর স্পোর্টসে সমান পারদর্শী জিৎ। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগের ‘বেঙ্গল টাইগার্স’-এর প্রাক্তন অধিনায়ক ছিলেন জিৎ। এছাড়াও তিনি প্রথম ২০১৬ সালে মাল্টিনেশন প্রিমিয়ার ফুটসলের কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও ছিলেন। জিৎ বাংলার একজন ক্যারাম চ্যাম্পিয়নও! ক্যারাম খেলার জন্য বর্ধমান, নদিয়া, পুরুলিয়াসহ বহু জায়গায় ঘুরেছেন এবং ক্যারাম টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে বাংলার ক্যারাম চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন জিৎ।
শপিংপ্রেমী!
জিতের ফ্যাশন সেন্স সবসময়, বাকি সব নায়কদের বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। একেবারে ‘শপাহলিক’ সুপারস্টার জিৎ। যখনই দেশের বাইরে যান, শুধু শপিংই হয়ে ওটে তাঁর মূল লক্ষ্য। ওঁর প্রিয় শপিং গন্তব্য ইতালি। অভিনেতা যখনই বিদেশে যান, শুটিং বা ছুটি কাটাতে, তিনি প্রথম যা কাজ করেন তা সন্তানদের জন্য শপিং!
‘প্রিয়তমা’ ডায়েরি
ইতিবাচক হোক নেতিবাচক, মন খারাপ কিংবা মন ভাল, কোনও পক্ষপাত ছাড়াই নিজের অনুভূতি সাজিয়ে রাখেন ডায়েরির পাতায়। ব্যক্তিগত সেই ডায়েরি, জিতের সেরা বন্ধু।