শেষ আপডেট: 13th January 2025 19:52
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো : ভারত এবং পাকিস্তান, এই দুটো দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একেবারে আকাশছোঁয়া। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখনই কোনও ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয়, তখন দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যেই হাইভোল্টেজ উত্তেজনা দেখতে পাওয়া যায়।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে ফের এই দুটো দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাইব্রিড মডেলে এই ম্যাচ আয়োজন করা হবে। প্রসঙ্গত, এই টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়া তাদের প্রত্যেকটা ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খেলবে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে জেনে নেওয়া যাক, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই টুর্নামেন্টে রেকর্ড ঠিক কেমন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটে ম্যাচে পাকিস্তান জয়লাভ করেছে। আর দুটো ম্যাচে বাজিমাত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই পরিসংখ্যানের কথা মাথায় রেখে বলা যেতেই পারে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার থেকে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান।
২০১৭ সালে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই হারের ক্ষত এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে। ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ১৮০ রানে জয়লাভ করেছিল। এই ম্যাচে ফখর জমান ১১৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন।
২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই দুটো দল প্রথমবার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়লাভ করে। এই ম্যাচে মহম্মদ ইউসুফ ৮১ রান করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন।
এরপর ২০০৯ সালে আয়োজন করা হয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। এই ম্যাচেও পাকিস্তান ৫৪ রানে জয়লাভ করেছিল। অবশেষে ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানকে হারায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ৮ উইকেটে জয়লাভ করেছিল।
২০০২ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যুগ্মজয়ী হয়েছিল। সেইবার বৃষ্টির কারণে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। সেকারণে দুটো দলকেই যুগ্মভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জয় করেছিল। ভারত এখনও পর্যন্ত ২ বার এবং পাকিস্তান মাত্র একবারই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জয় করে।