শেষ আপডেট: 12th November 2024 13:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গভীর সমুদ্রের বিভিন্ন খুঁটিনাটি জানাই প্রধান লক্ষ্য। সেই টার্গেট ধরেই এবার কাজ শুরু করতে চলেছে ভারতের সমুদ্রযান মৎস্য-৬০০০। মূলত সমুদ্রের নীচের মূল্যবান সব খনিজ পদার্থ, জীববৈচিত্র ও বিভিন্ন শক্তির উৎস জানতে বিশেষ ভূমিকা নেবে এই সাবমার্সিবল সাবমেরিন।
মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ এস রমেশ জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলায় পাওয়া বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু যেমন ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, কোবাল্ট, লোহা-সহ বিভিন্ন ধাতব এবং পলিমেটালিক নোডুলস খুঁজবে সমুদ্রযান।
জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অজানা অনেক কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যা এখনও দেশবাসীর কাছে অজানা। তা মূলত খুঁজে বের করে নয়া দিশা দেখাবে মৎস্য-৬০০০।
সমুদ্রের সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান খুবই সীমিত। মনে করা হয় ৫ শতাংশ মানুষের জানা থাকলেও অজানা রয়েছে ৯৫ শতাংশ। এই অভিযানে সমুদ্র সম্পর্কে মানুষ যেমন নয়া দিশা পাবেন তেমনই ভারতের অর্থনীতিতে এর বিশেষ প্রভাব পড়বে।
বিশাল জলরাশির আসল ও খুঁটিনাটি সবকিছু জানতে আরও বেশি করে পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই এই মিশনে আরও জোর দিচ্ছে ভারত। মহাসাগরের ৬ হাজার মিটার নীচে পাড়ি দেবে ভারতের সাবমেরিন। প্রথম পর্যায়ে যাবেন তিনজন বিজ্ঞানী।
সাগরের জলরাশির বিপুল চাপ যাতে সইতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সাবমেরিনে। টাইটানের করুণ পরিণতি দেখে তাই আরও উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রাথমিকভাবে ট্রায়ালের প্রথম পর্বে ৫০০ মিটার নীচ পর্যন্ত নামানো হবে সমুদ্রযানটিকে। জলের চাপ কতটা, সাবমেরিন তা নিতে পারছে কিনা, আপৎকালীন ব্যবস্থা কতটা দ্রুত কাজ করবে, সবকিছু পরখ করে ফের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ এই ট্রায়াল শুরু হবে। ২০২৫ সালের শেষদিকে ৬ হাজার মিটার পর্যন্ত ট্রায়াল হবে।
সমুদ্রায়ন প্রকল্পের খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা। ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনোলজির গবেষক-ইঞ্জিনিয়াররা সমুদ্রযান তৈরি করছেন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সমুদ্রের গভীরে টিকে থাকতে পারবে। পরে এই সময়সীমা ৯৬ ঘণ্টা অবধি বাড়বে।