শেষ আপডেট: 25th September 2024 19:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুণের ইওয়াই কর্মীর মৃত্যু ও তাঁর মায়ের চিঠি থেকে হইচই পড়ে যায় দেশে। অতিরিক্ত কাজের চাপই মৃত্যুর কারণ এমন দাবি করা হয়। এরপর একে একে এমন অনেক মৃত্যুর কথা শিরোনামে আসে যার নেপথ্যেও সেই কাজের চাপই দায়ী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কাজের চাপ নতুন কিছু নয়। অনেকেই কাজের চাপে চাকরি ছেড়ে দেন। তবে বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই চাকরি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু জীবনযাত্রার দিকে বিশেষ নজর দিতে পারলে, এই চাপ সামলানোও একটু সহজ হয়। কাজের চাপে সুস্থ থাকার টিপস দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রেকফাস্ট সময় মতো সেরে ফেলা
অনেকেই সকালে খালি পেটে অফিসে যায়। যা একেবারেই উচিৎ নয়, বলছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁর কথায়, খালি পেটে স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করলে সারাদিন পেটের জন্য তৈরি হওয়া অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কম হবে। এছাড়াও হাই প্রোটিন খাবার খেলে ব্রেকফাস্টে সারাদিন এনার্জির থাকবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা-কফি দূরে রাখা উচিৎ
অনেকেই বলেন ঘুম থেকে উঠে চা-কফি খেলে এনার্জি পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। বিশেষজ্ঞর কথায়, সকালে উঠেই চা-কফি খেলে আদতে উল্টো হয়। এনার্জি কমে যায়। তার বদলে ডাবের জল, সরবত বা ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। যা পেটও ভর্তি রাখবে আর শরীরে জলের ঘাটতিও মেটাবে।
স্ন্যাক্স খেতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে
কাজের চাপ থেকে মুক্তির পথ খাবার, এটা অনেকেরই হয়। কাজের চাপে বার বার এটা ওটা খাওয়া হয়েই থাকে। কর্পোরেট সংস্কৃতিতে তো অনেক বেশি হয়। বার বার খেলে মনে হয় চাপ একটু কমে। এতে বাড়তে পারে বিপদ। পেটের সমস্যা সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে এর ফলে। তাই বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬টার মধ্যে খেয়ে স্ন্যাক্স খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে হজম ভাল হবে ও অস্বস্তি কমবে।
নাইট শিফট জমজমাট
রাতে জেগে থাকা অনেকের কাছেই চ্যালেঞ্জিং। রাত জাগতে তাই খাবারের দ্বারস্থ হয় এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। রাতে খাবার খাওয়া উচিত নয়, একথা বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, রাতের খাবারে হেল্দি ফ্যাট ও কার্বোহাইট্রেড থাকা মাস্ট। জোয়ার, রাগি থেকে তৈরি রুটি খাওয়া যেতে পারে।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন
কাজের মন বসানোর জন্য শরীর ভাল রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে জলের ঘাটতি যাতে না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া খুব প্রয়োজন। বাটার মিল্ক, মেথির জল খাওয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে।
ব্রেক নেওয়া
একভাবে বসে কাজ করলে বিরক্তি আসবেই। কাজের মাঝেই ছোটো ছোটো ব্রেক নিতে হবে। একটু হেঁটে আসা বা স্ট্রেচ করা খুবই জরুরি। কাজের একঘেয়েমি দূর হবে। মুডও ঠিক থাকবে।
ঘুম খুবই জরুরি
কাজের জন্য ঘুমের সঙ্গে কোনওভাবেই সমঝোতা করা যাবে না। যদি একান্তই ঘুম না আসে তাহলে 'গুলকান্দ' (এক ধরনের মিষ্টি যা গোলাপের পাপড়ি থেকে তৈরি হয়) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও জলে বা দুধে কলা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
স্ট্রেস ম্যানেজ করতে হবে
ব্রিদিং এক্সারসাইস, মেডিটেশন করলে স্ট্রেস থেকে মুক্তি মিলতে পারে। স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি কমবে, ফোকাস বাড়বে।