শেষ আপডেট: 29th October 2024 01:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর দু'দিন পরই কালীপুজো। সাধারণত কালীপুজোর আগেরদিনটিকে ভূত চতুর্দশী হিসেবে পালন করে থাকে আপামর বাঙালি। এবছর ভূত চতুর্দশী পড়েছে বুধবার। তার আগে হ্যালোইনে মাতল কলকাতা। সোমবার রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বরে দেখা মিলল রংবেরঙের ভূতেদের।
অনেকের কাছে এই হ্যালোইন উৎসব 'অল হ্যালোস ইভ' বা 'হ্যালোইন ইভ' নামে পরিচিত। এই উৎসব মূলত ইউরোপ, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে হয়। তবে বর্তমানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও হ্যালোইন উদযাপন করতে দেখা যায়। এই দিনে অনেকেই ভূতেদের মতো সেজে ঘুরে বেড়ান।
আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সের কেল্টিক জাতিরা নভেম্বরের প্রথম দিনটি তাঁদের নববর্ষ হিসেবে পালন করতেন। গ্রীষ্মের শেষ ও শীতের শুরু বলে অক্টোবরের শেষ দিনটিকে সবচেয়ে খারাপ রাত বলতেন। তাঁদের মতে অক্টোবরের শেষ রাতে সমস্ত অতৃপ্ত আত্মারা মর্ত্যে ফিরে আসে এবং ঘুরে বেড়ায় চারিদিকে।
এই ভূতেদের সঙ্গে মানুষজন মুখোমুখি হয়ে গেলে বিরাট ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করতেন তাঁরা। তাই এই বিশেষ রাতে ভূতেরই মুখোশ পরে কাটাতেন। ভূতেদের তাড়ানোর জন্য পশুর চামড়া থেকে তৈরি পোশাকও পরতেন অনেকে।
'হ্যালোইন' শব্দটি এসেছে আসলে স্কটিশ শব্দ 'অল হ্যালোস' ইভ থেকেই। অনেকেই, বিশেষ করে বাচ্চারা 'হ্যালোইন' শুনলেই ভয় পায়। হ্যালোইন শব্দের অর্থ কিন্তু 'পবিত্র'। শুধু ভূত তাড়াতে নয়, পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনাতেও এই উৎসব পালিত হয় বহু জায়গায়।
আজ কলকাতায় 'স্পন্দন' নামের একটি সংস্থার তরফে আয়োজিত হয় এই ভূতুড়ে উৎসব। বিভিন্নরকম পোশাকে, মেকআপে ধরা দিলেন ভূতেরা।
কেউ গাছে আড়ালে, তো কেউ সটান রবীন্দ্রসদনের সামনে এসে হাজির হলেন। বহু মানুষ এই উৎসব দেখতে হাজির হন সেখানে। ভূতেদের সঙ্গে আলাপ জমান। সেলফিও তোলেন। ভূতেদের সঙ্গে চা পান করতেও দেখা যায় অনেককে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও শহরের বুকে হ্যালোইন ফেস্টিভ্যাল করেছে এই সংস্থা। সোমবার বিকেল নাগাদ ধীরে ধীরে ভূত সেজে লোকজন আসতে শুরু করে নন্দন চত্বরে। সন্ধে হতেই গা ছমছম পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। সেই ছবি ধরা পড়ল চিত্রশিল্পী শুভম সাহার ক্যামেরায়।