শেষ আপডেট: 12th September 2024 14:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ যথেষ্ট শান্ত স্বভাবের। সাধারণত তিনি খুব একটা বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিয়ো যথেষ্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের প্রাক্তন মেন্টর। সেখানে তিনি এমন একটি মন্তব্য করেছেন যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ডাক নাম দিতে শুরু করেছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা গম্ভীরের এই মন্তব্য যথেষ্ট ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন।
এই ভিডিয়োয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে টিভি প্রেজেন্টার শেফালি বগ্গার সঙ্গে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। শেফালিই তাঁকে ভারতের বিভিন্ন কিংবদন্তী ক্রিকেটারকে ব্যক্তিত্বের বিচারে বলিউডি ডাকনাম দেওয়ার অনুরোধ করেন।
শাহেনশাহ
শেফালি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন যে ভারতীয় ক্রিকেট দলে শাহেনশাহ কাকে বলা যেতে পারে। জবাব দিতে গিয়ে গম্ভীর ঝট করে বিরাট কোহলির নামটাই উচ্চারণ করেন। শাহেনশাহ নামটা শুনলেই আমাদের অমিতাভ বচ্চনের নামটাই প্রথমে মনে আসে। সেই বিখ্যাত ডায়লগ - 'রিস্তে মে তো হম তুমহারে বাপ লাগতে হ্যায়।'
বাদশাহ
ভারতীয় সিনে প্রেমীরা এই নামটার সঙ্গে একবারেই অপরিচিত নন। বলিউডে বাদশাহ একজনই আছেন। তিনি শাহরুখ খান। নিজের ক্যারিশ্ম্যাটিক পারফরম্যান্সে ৬০ বছরেও বক্স অফিসে আলোড়ন তুলতে পারেন। আর গম্ভীরের কথায় ভারতীয় ক্রিকেট দলে এমন ক্যারিশ্ম্যাটিক পারফরম্যান্স একজনেরই রয়েছে। তিনি যুবরাজ সিং। ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
টাইগার
এরপর শেফালি গম্ভীরকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি টাইগার ডাকনামটা কাকে দিতে চান। রুপোলি পর্দায় টাইগার বলতে আমরা সলমান খানকেই চিনি। সল্লু ভাই সোয়্যাগ সে সবাইকে সোয়াগত করেন। এই সিনেমায় ভাইজানের যে রাফ অ্যান্ড টাফ মেজাজ দেখানো হয়েছে, গম্ভীরের কথায় সেটা একমাত্র সৌরভের সঙ্গেই খাপ খাওয়ানো যেতে পারে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। ২০০২ সালে লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশদের চোখে চোখ রেখে জার্সি উড়িয়েছিলেন। ২০০১ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টেস্ট ক্রিকেট স্টিভ ওয়ার বিজয়রথ থামিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হওয়ার পর সৌরভকে টিম ইন্ডিয়া থেকে বাদ দেওয়া হলেও, তাঁর কামব্যাকের গল্প আজ রূপকথা হয়ে গিয়েছে।
খিলাড়ি
বলিউডে খিলাড়ি ফ্র্যাঞ্চাইজি একজনের দখলেই রয়েছে। তিনি অক্ষয় কুমার। খিলাড়ি নাম্বার ওয়ান, খিলাড়িও কা খিলাড়ি, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খিলাড়ি প্রতিটা সিনেমাই বাণিজ্যিকভাবে যথেষ্ট সফল। এই ডাকনামটা গম্ভীর জসপ্রীত বুমরাহকে দিতে চান। সম্প্রতি টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেতাব জয়ের পিছনে তাঁর বড়সড় অবদান রয়েছে।
দাবাং
এই ডাকনামটা ভারতীয় ক্রিকেট দলে কার হতে পারে, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। গম্ভীরও সেই নামটাই উল্লেখ করলেন। তিনি আর কেউ নন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং মায়েস্ট্রো শচীন তেন্ডুলকর। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে শচীন ভারতীয় ক্রিকেটে দাবাং পারফরম্যান্স করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি মোট ৩৪,২৮৩ রান করেছেন।
মিস্টার পারফেকশনিস্ট
এই ডাকনামটা রাহুল দ্রাবিড় ছাড়া আর কাউকে যেন মানায় না। সম্প্রতি তাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল টি-২০ বিশ্বকাপ খেতাব জয় করেছে। বলিউডে আমির খানকে মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলা হয়ে থাকে। দুজনেই প্রতিটা শট নিখুঁতভাবে নিতে চেষ্টা করেন। একজন ক্যামেরার সামনে, অপরজন ২২ গজের লড়াইয়ে।
অ্যাংরি ইয়ং ম্যান
বলিউডে অমিতাভ বচ্চন যখন প্রথম পা রেখেছিলেন, সেই সময় তাঁর অ্যাংরি ইয়ং ম্য়ান ইমেজ গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। রাজেশ খান্নার পর অমিতাভকেই গোটা দেশ মেগাস্টার হিসেবে বেছে নেয়। এই ডাকনামটা গম্ভীর অবশ্য নিজের জন্যই ব্যবহার করতে চান। ২২ গজের লড়াইয়ে গম্ভীরের রুদ্রমূর্তি কারোর কাছেই অজানা নয়। কখনও বিরাট কোহলির সঙ্গে, কখনও বা আবার কামরান আকমলের সঙ্গে। তবে গোটা বিষয়টাই যে নেহাতই মজার ছলে হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।