শেষ আপডেট: 26th September 2024 17:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণে উপোস একটা বড় বিষয়। খালি পেটে ভগবানের উপাসনা ভাল। তাই এই নিয়ম চিরাচরিত ভাবে চলে আসছে। শুধু বাঙালি নয়, বাংলার বাইরে এমনকি হিন্দু ধর্ম ছাড়া অন্যান্য ধর্মেও উপোসের প্রচলন রয়েছে। এছাড়াও অনেকে এমনিও ফাস্টিং করে। এতে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে শরীরে।
তাই উপোস বা ফাস্টিংয়ের সময় এমন কিছু খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। যা উপোসে খাওয়াও যায়, খেলে পুষ্টির ঘাটতিও হয় না।
সাবু
এই তালিকায় প্রথমেই আসে সাবুদানা। উপোসের সময় এই খাবার ডায়েটে রাখলে পেট ভর্তি থাকবে অনেকটা সময় পর্যন্ত। হালকা খাবার, খেতেও ভাল।
বাকহুইট (কুট্টু)
গ্লুটেন ফ্রি এই খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ফাইবার। উপোসের দিন এই খাবার ডায়েটে রাখলে প্রোটিনের ঘাটতি কমবে শরীরে।
ফক্স নাটস বা মাখানা
বর্তমানে খুব জনপ্রিয় এই খাবার বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। ক্যালোরি কম বলে পুষ্টিবিদরাও রোজকার ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন। অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে এতে, রয়েছে প্রোটিন, মিনারেলসও। যদি রোজকার ডায়েটে নাও রাখা যায়, এই খাবার উপোসের দিনে কিন্তু মাস্ট হ্যাভ।
মিষ্টি আলু
পুষ্টির কোনও অভাব নেই এই সবজিতে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম। যা শরীরের ইমিউনিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে। উপোসের দিন এই খাবার শরীরে এনার্জির জোগান দেয়।
ডাবের জল
উপোসের দিন অনেকেই জল খায় না। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের জলও মাস্ট হ্যাভ।
ফল
উপোস করলেও অনেকেই ফল খেয়ে থাকেন। বা উপোস শেষেও ফল খেয়ে থাকেন। কলা, আপেল, বেদানা এমন দিনে খেলে সুগার লেভেল কমে যাওয়ার ভয় থাকে না। এনার্জিও পাওয়া যায়।