শেষ আপডেট: 16th July 2023 12:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫৫ বছর বয়স হয়ে গেছে তাঁর। তবু ফিটনেস বা সুস্থতার প্রশ্নে, আজও অর্ধেক বয়সি সহ-অভিনেতাদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেন বলিউডের 'খিলাড়ি' অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar Fitness)। ফিল্ম জগতে নয়-নয় করে কাটিয়ে দিয়েছেন তিন দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও যেন তাঁর শক্তি, এনার্জি, যৌবনের আবেদন সেই প্রথম দিনের মতোই! তবে খুব সহজে এমনটা হয়নি। কঠোর রুটিনবদ্ধ জীবনযাত্রা (Tricks and Routine), পরিমিত ও ঘড়ির কাঁটায় মাপা ডায়েট, নিয়মিত এক্সারসাইজ-- এই সবটা মিলিয়েই নিজেকে এমন ধরে রেখেছেন অক্ষয়। গোটা বলিউড জানে, রাতের পার্টিতে মোটেই পাওয়া যাবে না অক্ষয় কুমারকে। পাওয়া যাবে না মদ্যপানের আসরেও।
প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে পড়া এবং রাত ৯টা বাজতে না-বাজতে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস অক্ষয়ের। শোনা যায়, বলিউড তারকারা যখন পার্টি করে বাড়ি ফেরেন, তখনই নাকি ভোরের পাখিদের সঙ্গেই অক্ষয় বেরিয়ে পড়েন রাস্তায় দৌড়তে।
ফিটনেসের মূল চাবিকাঠি, অর্থাৎ ডায়েট নিয়ে কোনও কম্প্রোমাইজ করেন না অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar Fitness)। সকালে বাড়ির রুটি-পরোটা, এক গ্লাস দুধ, জুস বা মিল্কশেক এবং ডিম খান তিনি। এর পর স্ন্যাক্স হিসেবে ফল, ড্রাই ফ্রুট ও সবুজ শাকসবজি খেয়ে থাকেন। লাঞ্চে ডাল, রুটি, সবজি, বয়েলড চিকেন, ডিনারে সুপ, সবজি ও স্যালাড খান।
নুন ও চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া সুস্বাস্থ্যের অন্যতম শর্ত। তাই খাবারে চিনি তো খানই না অক্ষয় কুমার, নুনও যতটা সম্ভব কম রাখেন আক্কি।
রাতের খাবার বা ডিনার সন্ধে সাড়ে ৬টার মধ্যে শেষ করেন অক্ষয় (Akshay Kumar Fitness)। শাস্ত্রের উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, সেখানও সূর্যাস্তের পরে কিছু না-খাওয়ার কথাই বলা হয়েছে। এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। তাঁর মতে, খাবার খাওয়ার পরে সেটা হজম হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে, তার পরেই বিছানায় শুতে যাওয়া উচিত।
শরীর ও স্বাস্থ্য রক্ষায় মদ্যপান করেন না অক্ষয়। তাঁর মতে, মদ্যপান করলে শুধু লিভারেই খারাপ প্রভাব পড়ে না বরং ত্বকও আসল রঙ এবং ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে।
অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar Fitness) সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা করে ওয়ার্কআউট করেনই। সেই সঙ্গে নিজের স্ট্যামিনা বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে দু-তিন বার বাস্কেটবল খেলেন অভিনেতা, ছেলের সঙ্গে সুইমিংও করতে যান তিনি।
এক্সারসাইজের পরে ফিট থাকার জন্য আজকাল প্রোটিন শেক অত্যন্ত ইন, কিন্তু অক্ষয় এর ব্যতিক্রম। তিনি কখনওই কৃত্রিম প্রোটিন শেক নেন না। তাঁর মতে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি। এর চেয়ে প্রাকৃতিকভাবে প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়াই ভাল।
প্রতিদিন শত ব্যস্ত শিডিউলেও আধঘণ্টা প্রাণায়ম বা মেডিটেশনের জন্য সময় রাখেন অভিনেতা। কারণ তিনি মনে করেন, কেউ যে কোনও কাজই করুন না কেন, মানসিক শান্তি খুব প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই মনকে শান্ত রাখতে এই অভ্যাস জরুরি।