২০১০ সালের ছবি ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন রণবীর সিং। বিপরীতে ছিলেন এখনকার বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। ছবি রিলিজ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই টিভির জনপ্রিয় শো কফি উইথ করণে গেছিলেন রণবীর সিং এবং অনুষ্কা শর্মা। সেখানেই নিজের সহ-অভিনেতার প্রতি এক মন্তব্য করে বিপদে পরেন তিনি। এই মন্তব্যের জন্য অনেকে তাঁকে ‘সেক্সিট’ এবং ‘ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট’ বলে নিশানা করেন। এমনকী অনুষ্কা শর্মাও রণবীরকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন এমনভাবে তাঁর সঙ্গে কথা না বলতে।
২০২২ সালে একটি ম্যাগাজিনে রণবীরের নগ্ন ফটোশ্যুট নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সেই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর রণবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার ধারায় মামলা করা হয় একটি এনজিওর তরফ থেকে। পরবর্তীকালে মুম্বই পুলিশ তাঁকে কথা বলার জন্য ডেকে পাঠালে তিনি বলেন, কেউ তাঁর মুখ অশ্লীল ছবির উপর বসিয়ে দিয়েছে। এতে তাঁর কোনও দোষ নেই।
সম্প্রতি রণবীর সিং - কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ডাব্লিউডাব্লিউই খ্যাত কুস্তিগির ব্রক লেসনারের আইনজীবী পল হেম্যান। ভারত-পাকিস্তানের খেলা শেষ হওয়ার পর রণবীর সিং টুইটারে কিছু বিখ্যাত ক্রীড়াবিদদের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, 'ইট, স্লিপ, কঙ্কার, রিপিট।' সেই পোস্টের নীচে কুস্তিগীরের আইনজীবী কমেন্ট করেন যে এই ট্যাগলাইনটি তাঁর ক্লায়েন্ট অর্থাৎ ব্রক লেসনারের। এই ক্যাচলাইনে ব্রক লেসনারের কপিরাইট রয়েছে।
রণবীর সিং অভিনীত বাজিরাও মস্তানি ছবিটিও যথেষ্ট বিতর্কের মুখে পরে। অভিযোগ এই ছবিতে রাজা এবং রানীর চরিত্রায়ন সঠিকভাবে করা হয়নি।
জ্যাক অ্যান্ড জোনসের একটি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংও রণবীর সিং-এর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিজ্ঞাপনে দেখা গেছিল, রণবীর সিং একটি মেয়েকে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে এবং পাশে দাঁড়ানো একজন বাটলার উঁকি মারছেন। বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন ছিল, 'ডোন্ট হোল্ড ব্যাক, টেক ইওর ওয়ার্ক হোম।' নেটিজেনরা এই বিজ্ঞাপনকে অশ্লীল এবং সেক্সিস্ট বলে মনে করেছেন। এই বিজ্ঞাপনটি মেয়েদের সম্মানহানি করছে বলে মনে করেছেন অনেকেই। পরবর্তীকালে রণবীর সিং সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষমা চান এবং বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি পদ্মাবত নিয়েও সমালোচনার সামনে পড়তে হয় ওই ছবির অভিনেতা অভিনেত্রীদের। ছবির প্রধান নায়ক রণবীর সিং- কে রাজপুত সম্প্রদায়ের থেকেও বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়। প্রতিবাদীদের বক্তব্য ছিল, রাজপুত রানির নেতিবাচক চরিত্রায়ন করা হয়েছে এই ছবিতে।
২০১৪ সালে করণ জোহরের বিখ্যাত টিভি শো এআইবি নকআউটের একটি এপিসোডের অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রণবীর সিং এবং অর্জুন কাপুর। সেই এপিসোডটি ইউটিউবে আপলোড করার পর প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। নানা ‘অশ্লীল’ মন্তব্য এবং ব্যঙ্গাত্মক আলোচনার জন্যে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত করা হয়।
বলিউড সেলিব্রিটিদের বিয়ে বরাবরই থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। রণবীর এবং দীপিকার বিয়ে নিয়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নেটিজেনদের একাংশের মতে, তাঁদের বিয়েতে ‘শিখ কোড অফ কন্ডাক্ট’ ভাঙা হয়েছে। শিখ ধর্মমতে গুরুদ্বার ছাড়া গুরু গ্রন্থ সাহিব আর কোথায় রাখা যায়না। কিন্তু তাঁদের বিয়েতে সেই নিয়ম না মানায় শিখ ধর্মের বহু মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা যায়।
২০১২ সালে সলমন খানের বিখ্যাত ছবি এক থা টাইগার সম্পর্কে টুইটারে মন্তব্য করার পরও বিপদে পড়েন রণবীর সিং। লেখেন ছবিটি বোরিং যার ফলে সলমনের অনেক ভক্তর থেকে তীব্র বাক্যবাণ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে।
‘গুন্ডে’ ছবির প্রোমোশনে রণবীর সিং এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। অনুষ্ঠান চলাকালীন রণবীর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার দিকে একটি ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ে দেন। সেই বিষয়টি অভিনেত্রীর মোটেও পছন্দ হয়নি। সেখান থেকেই শুরু বিতর্কের। এমনকী এও জানা যায় যে অভিনেত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে পেরে রণবীর সিং বলেছিলেন তিনি আর ভবিষ্যতে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কাজ করতে চান না।