শেষ আপডেট: 11th April 2025 18:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম থেকে রেহাই পেতে আমরা অনেকেই ঘরে এসি ব্যবহার করি। এই কয়েকটা মাস আকাশছোঁয়া বিল আসে ইলেক্ট্রিকের। যা দেখে অনেকেই ভয়তে আর এসি চালায় না। নয়তো কীভাবে এসি চালালে বিল কম হবে, সেই পন্থা খুঁজতে থাকে। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মতে, কয়েকটা সাধারণ ও বাস্তবসম্মত কৌশল মেনে চললে এসি ব্যবহার করলেও খুব বেশি বিল আসবে না। জেনে নিন।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করুন
এসি চালানোর সময় তাপমাত্রা যদি ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করা হয়, তাহলে তাপমাত্রা অনেকটা আরামদায়ক হবে, বিদ্যুতের খরচও অনেকটা কম হবে। অনেকেই খুব কম তাপমাত্রায় এসি চালান, যাতে কারেন্ট বেশি পোড়ে, বেড়ে যায় বিদ্যুৎ খরচ।
ইনভার্টার এসি ব্যবহার করুন
সাধারণ এসির তুলনায় ইনভার্টার এসিতে কারেন্ট কম খরচ হয়। কারণ এতে কম্প্রেসরের গতি, নির্ধারিত তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
ঘরের সিলিং ফ্যান বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করুন
শুধু এসি চালালেই হবে না, ঘরের ঠান্ডা হাওয়া সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সিলিং ফ্যানও চালানো জরুরি। ফ্যান যদি মাঝারি গতিতে চালানো হয়, তাহলে ঘর তুলনামূলকভাবে দ্রুত ঠাণ্ডা হবে, ফলে এসির ওপরে চাপ কমবে।
নিয়মিত এসির সার্ভিসিং করান
ইন্ডোর এবং আউটডোর উভয় ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়ে সার্ভিসিং করানো জরুরি। তাতে এসির কার্যক্ষমতা বাড়ে। জমে থাকা ধুলো ও ময়লা পরিষ্কার হলে এসি সহজে ঠান্ডা করে ও বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
জানালায় পর্দা, ব্লাইন্ড বা শেড ব্যবহার করুন
সূর্যের কড়া রোদ যাতে ঘরে না ঢোকে, সেজন্য জানালায় ভারী পর্দা বা ব্লাইন্ড লাগান। এতে ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে এবং এসিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হবে না, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হবে।
এসি বসানোর জায়গা ঠিকমতো বাছুন
এসির বাইরের ইউনিট যদি সরাসরি রোদের মধ্যে থাকে, তবে সেটি অতিরিক্ত গরম হয়ে এসির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই সেটি এমন জায়গায় বসান যেখানে ছায়া থাকে বা প্রয়োজনে শেড ব্যবহার করুন।
প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর এসির ফিল্টার পরিষ্কার করুন
এসির ফিল্টার যদি ধুলো জমে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা হতে পারে। তাই অন্তত দুই সপ্তাহে একবার ফিল্টার খুলে পরিষ্কার করা উচিত।