শেষ আপডেট: 19th December 2024 19:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এদেশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে গেলেই গা ছমছম অবস্থা তৈরি হয়। ভূতে বিশ্বাস করেন না এমন মানুষজনও তেনাদের উপস্থিতি অস্বীকার করতে পারেন না। কয়েকটি জায়গার তো বহু পুরনো ইতিহাসও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বাজারে এসব জায়গা ধীরে ধীরে সকলের সামনে আসলেও এখনও অনেক জায়গা অজানা রয়ে গেছে।
বহু মানুষ রয়েছেন যারা আজকাল এইসব জায়গায় যান এবং এক্সপ্লোর করে দেখেন আদৌ তিনারা আছে কিনা। আর ক'দিন বাদে ক্রিসমাস, দেশের এমন কিছু ভৌতিক চার্চের খোঁজ রইল দ্য ওয়ালে।
সেন্ট জোনস ব্যপটিস্ট চার্চ, মুম্বই
এই চার্চের ইতিহাস বহু পুরনো। এককালে অসাধারণ সুন্দর ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে নষ্ট হয় পর্তুগিজদের আমলে। স্থানীয়রা অনেকেই বলেন এই চার্চে নাকি ভূত রয়েছে। এখানে নাকি অনেকেই কোনও এক কনেকে দেখেছেন ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। উপস্থিতি অনুভব করেছেন মাত্র।
থ্রি কিংস চার্চ, গোয়া
গোয়া যাননি এমন মানুষের সংখ্যা হতে গোনা। গোয়ায় সামুদ্রিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে ভাস্কর্য উপভোগ করতে যান মানুষজন। অনেকেই হয়তো এই চার্চে গিয়েছেন, অনেকেই হয়তো তেনাদের উপস্থিতি অনুভব করেছেন। বহু বছর ধরেই এই চার্চ ভৌতিক জায়গা হিসেবে বিখ্যাত। থ্রি কিংস চার্চে নাকি এখনও মাঝে মাঝে রাজা আসেন। তাঁর আত্মা ঘুরে বেড়ায় চার্চের আশপাশে।
রজ আইল্যান্ড, আন্দামান
রজ আইল্যান্ডের ইতিহাস বহু প্রাচীন। ব্রিটিশদের সময় রক্ত ঝরেছে এই দ্বীপে। ১৯৪০ সালে একটি ভূমিকম্পের পর দ্বীপটির ক্ষতি হয়। ভেঙে যায় প্রায় সবকিছু। ধ্বংস হয় চার্চটিও। এখানেই নাকি ভূত রয়েছে। দিনের বেলা গেলেও এই এলাকায় গা ছমছম করে। চারিদিকে জনমানুষ নেই। শুধু সমুদ্রের ঢেউ এবং জলের আওয়াজ।
ব্যাণ্ডেল চার্চ, হুগলি
১৫৯৯ সালে তৈরি চার্জ দেশের অন্যতম প্রাচীন চার্চ হিসেবে পরিচিত। এখানেও এককালে বিশেষ করে ব্রিটিশ আমলে রক্ত ঝরেছে। অনেকেই নাকি রাতে এখান থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। অনেকে অদ্ভুত জিনিসপত্র দেখতেও পান।
দেমন্তে কলোনি, চেন্নাই
স্থানীয়রা এই চার্টের নাম শুনলেই ভয় পান। তাঁরা নাকি বহু বছর ধরে এখানে অশরীরীদের উপস্থিতি অনুভব করেছেন। চার্চটি পরিতক্ত ফলে অসামাজিক কাজও হয়। ভূত আছে বলে এর ধারে আসে না সাধারণ মানুষ।