শেষ আপডেট: 29th June 2023 06:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ, বৃহস্পতিবার দেশ তথা বিশ্বজুড়ে পালিত হতে চলেছে ইদ-উল-আজহা তথা বকরি ইদ। ইদ উল আজহা অর্থ কোরবানির ঈদ। একে বড় ইদ এবং বকরি ইদও বলা হয়। হিজরি বর্ষের দ্বাদশ মাসের ১০ তারিখে এই ইদ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলায় বহু বছর ধরেই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়ে আসছে বকরি ইদ। নাখোদা কিংবা টিপু সুলতান মসজিদে ভোর থেকে মানুষের ঢল নামে। বাংলার বাইরে দিল্লির জাম্মা মসজিদ কিংবা চারমিনারের সামনে নামাজ পড়েন শয়ে শয়ে মানুষ।
তবে আজ আপনাদের ভারতের বাইরের কিছু বিখ্যাত মসজিদের সন্ধান রইল, সেগুলির গঠনশৈলী এবং কারুকাজ হাঁ করে দেখার মতো। সেগুলির বেশিরভাগেরই তৈরি হওয়ার পিছনে দুর্দান্ত ইতিহাস রয়েছে। ধর্মে বিশ্বাস করুন বা না করুন, এইসব মসজিদ দেখলে মুগ্ধ হতেই হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় উত্তরবঙ্গের আনাচকানাচ, অনাবিল সৌন্দর্য ও শান্তির ছবি মন ভরিয়ে দেয়
আল হারাম মসজিদ, সৌদি আরব: মক্কার এই মসজিদ পৃথিবীর প্রাচীনতম, দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ। ৪ লক্ষ বর্গমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি এই মসজিদে হজযাত্রার সময় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেন।
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী: আবু ধাবির এই সুবিশাল মসজিদে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পার্সিয়ান কার্পেট। মসজিদের ছাদ থেকে ঝোলে স্বরোভস্কি ক্রিস্টাল দিয়ে তৈরি চোখ ধাঁধানো জার্মান ঝাড়বাতি। মার্বেল পাথর, সোনা, বিভিন্ন দামি পাথর, স্ফটিক এবং সেরামিকের কারুকাজ করা এই মসজিদে রয়েছে ৮২টি গম্বুজ এবং ১০০০টিরও বেশ থাম।
নাসির আল মুল্ক মসজিদ, ইরান; ১৯ শতকে তৈরি এই মসজিদটি বিশেষভাবে নজর কাড়ে রঙিন কাচের জানলার জন্য। মসজিদের মেঝেতে রয়েছে গোলাপরঙা টাইলস, থামগুলির গায়ে খোদাই করা সূক্ষ্ম কারুকার্য। সূর্যোদয়ের সময় রঙিন কাচ ভেদ করে যখন আলো এসে পড়ে, তখন সাতরঙা ক্যালাইডোস্কোপ এক মায়াবী জগতে প্রবেশের দরজা খুলে দেয়।
ব্লু মস্ক, তুরস্ক: এই মসজিদটির আসল নাম সুলতান আহমেদ মসজিদ। ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে নির্মিত হয়েছিল এই মসজিদটি। এই মসজিদের মধ্যিখানে রয়েছে একটি বিশালাকার মূল গম্বুজ। তাকে বেষ্টন করে রয়েছে অজস্র ছোট ছোট গম্বুজ। সিলিংটি তৈরি হয়েছে নীল রঙের ঝকঝকে টাইলস দিয়ে যা থেকে আলো ঠিকরে পড়ে।
ক্রিস্টাল মস্ক, মালয়েশিয়া: ওয়ান মান আইল্যান্ডের ইসলামিক হেরিটেজ পার্কের এই মসজিদটি তৈরি হয়েছিল ২০০৮ সালে। কাচ, ক্রিস্টাল এবং স্টিল দিয়ে নির্মিত মসজিদটি দেখার জন্য ভিড় করেন সারা দেশের পর্যটকরা। এই মসজিদে রয়েছে বৈদ্যুতিক কোরান।
হাসান ২ মস্ক, মরোক্কো: এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম মসজিদ। এখানে রয়েছে একটি ৭০০ ফুট উঁচু মিনার, যা বিশ্বের উচ্চতম। এর উপরেই রয়েছে লেজার আলো, যেটি মক্কার দিকে মুখ করে থাকে। অতলান্তিক মহাসাগরের দিকে মুখ করে থাকা এই মসজিদটির মেঝে তৈরি হয়েছে কাচ দিয়ে। ফলে ভিতরে হাঁটার সময় দেখা যাবে, পায়ের তলা দিয়েই বয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের নীল জলরাশি, পাথরের উপর আছড়ে পড়ছে তা। মসজিদের ছাদ তৈরি হয়েছে কাঠ দিয়ে, দেওয়ালগুলি মার্বেল নির্মিত।
সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া: বিশালাকার এই মসজিদের দেওয়াল এবং ছাদে নীল মোজাইক এবং সেরামিকের কাজ দেখলে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। জ্যামিতিক নকশাকাটা সেই দেওয়ালে কোরানের আয়াত লেখা রয়েছে।
জাম্মা মসজিদ, ভারত: লাল বেলেপাথরে তৈরি এই মসজিদটি রয়েছে পুরনো দিল্লিতে। এটি ভারতের বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি যার সামনের চত্বরে একসঙ্গে ২৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।
শাহ মস্ক, ইরান: ১৭ শতকের গোড়ার দিকে এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু হলেও এর সম্প্রসারণের কাজ চলেছিল পরবর্তী ১০০ বছর ধরে। অভিজাত এই মসজিদটির দেওয়াল সাতরঙা টাইলস দিয়ে সজ্জিত। মসজিদের ভিতরের নকশা এবং ক্যালিগ্রাফি হাজার বছরের ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন।
ন্যাশনাল মস্ক, মালয়েশিয়া: কুয়ালালামপুরে অবস্থিত এই মসজিদে একটি ৭৩ মিটার উঁচু মিনার রয়েছে। মূল গম্বুজটি অনেকটা খোলা ছাতার মতো দেখতে। এই অনন্য নির্মাণশৈলী ইসলামী ঐতিহ্য, ক্যালিগ্রাফি এবং অলঙ্করণের একটি অত্যাশ্চর্য মিশেল।
ইবন তুলুন মস্ক, মিশর: এই মসজিদটি মিশরের প্রাচীনতম এবং সু-সংরক্ষিত মসজিদগুলির মধ্যে অন্যতম। লাল-ইট দিয়ে তৈরি স্থাপত্যটি ৮৭৬ সালে মিশর এবং সিরিয়ার তুর্কি সরকার তৈরি করেছিল। ই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল আমির আহমেদ ইবনে তুলুনের নামে। তিনি ছিলেন একজ সৈনিক, যাঁকে বাগদাদের খলিফা নবম শতাব্দীতে আল ফুসতাত শাসন করার জন্য পাঠিয়েছিলেন।
সুলেমানিয়ে মস্ক, তুরস্ক: প্রথম সুলেমানের শাসনকালে নির্মিত এই মসজিদটি মার্বেল, গ্রানাইট এবং পরফাইরির অসামান্য কারুকার্য রয়েছে। মসজিদের ভিতরে রয়েছে ইজনিক টাইলস, মার্বেল, হাতির দাঁত এবং মুক্তোর কাজ।
গ্রেট মস্ক অফ কাইরুয়ান, তিউনিশিয়া: সুপ্রাচীন এই মসজিদটির গঠনশৈলীতে রয়েছে প্রাক-ইসলামিক, রোমান এবং বাইজেন্টাইন স্থাপত্যের মিশ্র প্রভাব। সিদি ওকবা নামেও পরিচিত এই ইসলামীয় উপাসনালয়টি। ৬৭০ সালে তৈরি গ্রেট মস্ক অফ কাইরুয়ান আফ্রিকার প্রাচীনতম মুসলিম উপাসনালয়।
শেখ লৎফল্লাহ মস্ক, ইরান: ইরানী স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৬০২ থেকে ১৬১৯ সালের মধ্যে। সেই সময় শাসনক্ষমতায় ছিলেন প্রথম শাহ আব্বাস। এখানে নামাজ তো পড়া হয় বটেই, তা ছাড়াও মসজিদের ভিতরে রয়েছে একটি রাজকীয় স্নানাগার, একটি টাঁকশাল, এবং একটি হাসপাতাল রয়েছে।
আল আকসা মসজিদ, ইজরায়েল: পুরনো জেরুজালেমে অবস্থিত এই মসজিদটি ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত। আল আকসা মসজিদ ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মহম্মদকে মক্কার আল-হারাম মসজিদ থেকে আল-আকসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আল মসজিদ আন নবাবি, সৌদি আরব: মদিনার এই মসজিদটি তৈরি করেছিলেন স্বয়ং নবী মহম্মদ। এটি সবসময় খোলা থাকে। মসজিদের কেন্দ্রে সবুজ গম্বুজের নীচে রয়েছে প্রফেট মহম্মদের কবর। এটি বিশ্বের অন্যতম পবিত্র ইসলামী তীর্থস্থান।
উবুদিয়াহ মসজিদ, মালয়েশিয়া: উবুদিয়াহ মসজিদের অর্থ হল 'আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের মসজিদ'। সাদা দেওয়াল এবং সোনালি গম্বুজ সমন্বিত এই মসজিদটি দেখতে অপরূপ সুন্দর।
শাহ ফয়জল মসজিদ, পাকিস্তান: বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এবং পাকিস্তানের বৃহত্তম এই মসজিদটি ইসলামাবাদের মার্গাল্লা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মসজিদটি একটি বেদুইনের তাঁবুর আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্য নয়, বরং আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটিতে ২৬০ ফুট উঁচু ৪টি মিনার রয়েছে। এছাড়া ঢালু চালার আকারের ৮টি ছাদ রয়েছে। এখানে একসঙ্গে ১০ বাজার জন উপাসনা করতে পারেন।
ওয়াজির খান মসজিদ, পাকিস্তান: শাহজাহানের অধীনে পাঞ্জাবের ভাইসরয় শেখ ইলম-উদ-দিন আনসারি ১৬৩৪ সালে লাহোর এই মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। এটি পাকিস্তানের অন্যতম বিখ্যাত একটি মসজিদ।
তাজ-উল মসজিদ, ভারত: ১৯ শতকে তৈরি এই মসজিদটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অবস্থিত। তাজ-উল-মসজিদ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল 'মসজিদের মুকুট'। ৪ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ প্রার্থনা করতে পারেন।
মসজিদ সুলতান কাবুস, ওমান: এটি ওমানের বৃহত্তম মসজিদ এবং এর চারটি প্রধান বিভাগ রয়েছে, প্রধান প্রার্থনা হল, মহিলাদের প্রার্থনা হল, লাইব্রেরি এবং বক্তৃতা থিয়েটার। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এবং অসাধারণ আধুনিক মসজিদগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত এই মসজিদ। সুলতান কাবুস মসজিদের স্থাপত্যে ইসলামিক, মধ্যপ্রাচ্য এবং ওমানি শৈলীর সংমিশ্রণ রয়েছে। এখানে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ উপাসনায় অংশ নিতে পারেন।
লালা মুস্তাফা পাশা মসজিদ, উত্তর সাইপ্রাস: এই মসজিদটি মূলত সেন্ট নিকোলাস ক্যাথিড্রাল নামে পরিচিত। উত্তর সাইপ্রাসের ফামাগুস্তা এলাকায় এটি বৃহত্তম মধ্যযুগীয় ভবন। গথিক স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি এই মসজিদটি ফ্রান্সের প্যারিসের রেইমস ক্যাথিড্রালের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
হেরাট মসজিদ, আফগানিস্তান: এটিকে হেরাটের জাম্মা মসজিদ বলা হয়। ১২০০ সালে এই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও শেষ হয় ১৪৪৬ সালে। এই ইসলামিক স্থাপত্যটির মোজাইকের কজে তিমুরিদ শৈলীর ছোঁয়া রয়েছে।
ক্যাথিড্রাল কর্ডোবা মসজিদ, স্পেন: স্থানীয়ভাবে মেজকুইটা-ক্যাটেড্রাল নামে পরিচিত কর্ডোবার এই মসজিদটি ৮ম শতাব্দীর শেষদিকে তৈরি হয়েছিল। জ্যাস্পার, ওনিক্স, মার্বেল এবং গ্রানাইট দিয়ে নির্মিত ৮৫৬টি থাম মুরিশ স্থাপত্যের চিহ্ন বহন করে। মসজিদের দেওয়ালগুলি লাল এবং সাদা ইট দিয়ে সজ্জিত। পুরো কাঠামোটিতে কোনও চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য বা চেয়ার নেই। কেবল স্তম্ভগুলিতে বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা খোদিত রয়েছে।
মালাক্কা স্ট্রেট মসজিদ, মালয়েশিয়া: এই মসজিদটি পুলাউ মেলাকা নামের একটি মনুষ্যসৃষ্ট দ্বীপে সমুদ্রের ঠিক উপরে অবস্থিত। মালাক্কার ভাসমান মসজিদ নামেও পরিচিত এটি। রঙিন কাচের ভিতর দিয়ে যখন উদীয়মান কিংবা অস্তগামী সূর্যের আলো মসজিদের ভিতরে এসে পৌঁছায়, তখন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।
নুসরত জাহান মসজিদ, ডেনমার্ক: কোপেনহেগেনের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই মসজিদটি একটি আহমদিয়া মসজিদ। ডেনমার্কের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মহিলা চাঁদা তুলে ১৯৬৭ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। অন্যান্য মসজিদের মতো নুসরত জাহান মসজিদে কোনও মিনার কিংবা থাম নেই। সাদা ইট দিয়ে তৈরি এই মসজিদটি কাঠামো বৃত্তাকার, এবং ছাদটি বিশালকার গম্বুজাকৃতির। মসজিদের জানলাগুলো বিভিন্ন রঙের কাচ দিয়ে বানানো হয়েছে।
জাহির মসজিদ, মালয়েশিয়া: কেদাহের রাজধানী আলোর সেতার শহরে ১৯১২ সালে নির্মিত জাহির মসজিদটি মালয়-ইসলামী স্থাপত্যের একটি চমৎকার নিদর্শন। এটির মূল নকশা উত্তর সুমাত্রার ল্যাংকাট সালতানাতের আজিজি মসজিদ থেকে অনুপ্রাণিত। এতে পাঁচটি বৃহদাকার কালো গম্বুজ রয়েছে যেগুলি আসলে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতীক।
উমায়াদ মসজিদ, সিরিয়ান আরব রিপাবলিক: দামাস্কাস শহরে অবস্থিত এই মসজিদটি উমাইয়া খলিফা প্রথম আল-ওয়ালিদ প্রথমের শাসনকালে নির্মিত। ইসলামের প্রাচীনতম এবং পবিত্রতম স্থানগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত এই মসজিদটির ভিতরে রয়েছে একটি সমাধি।
বার্সা গ্র্যান্ড মস্ক, তুরস্ক: উলু কামি’ নামে পরিচিত এই মসজিদটি অটোমান স্থাপত্যের স্মৃতিচিহ্ন বয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও। মসজিদটি সেলজুক শৈলীতে নির্মিত। এতে ২০টি গম্বুজ এবং ২টি মিনার রয়েছে। রয়েছে ১২টি স্তম্ভ। মসজিদের দেওয়ালগুলি ৪১ জন ক্যালিগ্রাফার দ্বারা লিখিত মোট ১৯২টি ক্যালিগ্রাফির নমুনা দিয়ে সজ্জিত। এটি বিশ্বের ইসলামী ক্যালিগ্রাফির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ।
কুল শরিফ মসজিদ, রাশিয়া: ১৫৫২ সালে ইভান দ্য টেরিবল পুরনো কুল শরিফ মসজিদটি ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তারপর ১৯৯৬ সালে পুনর্নির্মিত হয় মসজিদটি। কাজান ক্রেমলিনের ভূখণ্ডে অবস্থিত এই মসজিদটি ইসলামের প্রাচীন বইগুলির একটি সমৃদ্ধ সংগ্রহশালাও বটে।
দ্য লন্ডন সেন্ট্রাল মস্ক: এটি লন্ডনের প্রধান মসজিদ। ব্রিটেনে বসবাসকারী ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটিই আধ্যাত্মিক কেন্দ্রবিন্দু। এখানে মহিলাদের প্রার্থনা করার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষ এখানে প্রার্থনা করতে পারেন।
গ্রেট মস্ক শিয়ান, চিন: ৭৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রেট মসজিদ শিয়ান হল চিনের প্রাচীনতম মসজিদ। ১২ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত মসজিদটি সম্পূর্ণ চিনা স্থাপত্যরীতিতে তৈরি। প্রার্থনা কক্ষ ছাড়াও এই মসজিদে রয়েছে সুবিস্তৃত বাগান।
পুচং পের্দানা মসজিদ, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার অন্যতম সুন্দর মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল এটি। পুচং হ্রদের পাড় ঘেঁষে তৈরি এই মন্দিরটির ছায়া যখন লেকের নীল জলে প্রতিফলিত হয়, তখন তা মসজিদের সৌন্দর্যে অন্য মাত্রা যোগ করে। গোলাপরঙা গ্রানাইট দিয়ে তৈরি মসজিদটি তিনটি এলাকায় বিভক্ত- প্রার্থনা হল, উঠোন এবং অনুষ্ঠান কক্ষ।