বলিউড সুপারস্টার, এদিকে কেরিয়ারে ফ্লপের সংখ্যা শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যেতে পারে যে কারও। ভাবতে হয়, এত অসফল সিনেমা থাকা সত্ত্বেও কোনও অভিনেতা কীভাবে বছরের পর বছর সুপারস্টার তকমা ধরে রাখতে পারেন।
কেরিয়ারে অজস্র সিনেমা তাঁর। হিটও প্রচুর। কিন্তু ফ্লপের সংখ্যা তাঁর দ্বিগুণেরও বেশি। বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লপ ছবির নিরিখে এখনও অবধি এই অভিনেতাই সবার উপরে। এমনকী তাঁর ধারেকাছেও নেই কোনও অভিনেতা।
বড় বড় অভিনেতাদের ছবিও ফ্লপ হয়। তাঁদেরও খারাপ সময় যায়। অক্ষয় কুমার থেকে অমিতাভ বচ্চন, কেউই এর ব্যতিক্রম নন। কিন্তু কেরিয়ারে ফ্লপের সংখ্যা প্রায় দু’শোর কাছাকাছি। ভাবতে অবাক লাগে বৈকি!
কিন্তু এত অসফল সিনেমার পরেও নিজের যোগ্যতায় আজও তিনি বি টাউনের সুপারস্টার। অভিনেতার নাম মিঠুন চক্রবর্তী। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘প্যায়ার ঝুকতা নাহি’র মতো একাধিক সুপারহিট ছবি রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
হিন্দি-বাংলা এবং অন্যান্য ভাষার ছবি মিলিয়ে এখনও অবধি তাঁর সিনেমার সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে ৫০টি হিন্দি ছবি রয়েছে। সর্বোচ্চ হিট ছবি উপহার দেওয়ার নিরিখে বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে মিঠুন চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
তবে ফ্লপের সংখ্যা এর থেকে কয়েকগুণ বেশি। দেখা গিয়েছে, বলিউডে তাঁর ১৮০টি ছবি ব্যর্থ হয়েছে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি ব্যর্থতার মুখ তিনি দেখেছিলেন ১৯৯৩-৯৮ সাল অবধি। নিজের কেরিয়ারে এত ফ্লপ আর কোনও অভিনেতারই নেই।
এই পাঁচটা বছরে মিঠুনের ৩৩টি ছবি বক্স অফিসে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে। সেসময় একের পর এক বি গ্রেডের ছবিতেও অভিনয় করেছেন এই বঙ্গসন্তান। এমনকী বেশ মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন হোটেল ব্যবসাতেও।
ফ্লপের নিরিখে মিঠুন চক্রবর্তীর ধারেকাছে নেই কোনও বলিউড সুপারস্টার। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জিতেন্দ্র। তাঁর কেরিয়ারে ১০৬টি ফ্লপ সিনেমা রয়েছে। তালিকায় তিন নম্বরে আছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর ফ্লপ ছবির সংখ্যা ৯৯টি।
এই তালিকার প্রথম দশ অভিনেতার হিসাব করলে শুরুতেই নাম আসবে ওই তিনজনের। এরপর বাকি সাতজনের মধ্যে রয়েছেন ঋষি কাপুর (৭৬), গোবিন্দা (৭৫), সঞ্জয় দত্ত (৭০), অমিতাভ বচ্চন (৬৮), বিনোদ খান্না (৬৪), অক্ষয় কুমার (৫৭) এবং রাজেশ খান্না (৫৫)।
ফ্লপ ছবির তালিকায় আছেন রাজ কাপুর, শাহরুখ খানের মতো সুপারস্টাররাও। তবে তাঁদের কেরিয়ারে ব্যর্থ ছবির সংখ্যা খুবই কম। রাজ কাপুরের অভিনয় কেরিয়ারে ২৯টি ছবি অসফল হয়েছে। অন্যদিকের শাহরুখের রয়েছে ২৪টি ফ্লপ ছবি।