ত্রাস ছিলেন ব্যাটসম্যানদের কাছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দশ ফাস্টবোলার
১০. ইয়ান বিশপ
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলে খেলেছেন ইয়ান বিশপ। মাত্র ২১ টি টেস্টে ১০০ উইকেট নেন। ৬ ফূট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার জন্য উইকেট থেকে অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করতেন। চোটের জন্য জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। টেস্টের স
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় দলে খেলেছেন ইয়ান বিশপ। মাত্র ২১ টি টেস্টে ১০০ উইকেট নেন। ৬ ফূট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার জন্য উইকেট থেকে অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করতেন। চোটের জন্য জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। টেস্টের সেরা বোলিং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, ৪০ রানে ৬ উইকেট।
৯.চার্লি গ্রিফিথ
১৯৬১-৬২ সিরিজে এঁর বলের আঘাতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান নরি কন্ট্রাক্টরের মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। সেরা বোলিং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ৩৬ রানে ৬ উইকেট। ছটি বল নাকি ছ'রকম গতিতে করতেন। এঁর বলে বেশিরভাগ ক্যাচ উঠত উইকেটের পিছনে।
৮.ওয়েসলি হল
উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়েসলি হল তাঁর খেলোয়াড় জীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে হয়ে উঠেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ভয়াবহ ফাস্ট বোলার। তিনিই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে হ্যাট্ট্রিক করেন। টেস্টে সেরা বোলিং ৬৯ রানে ৭ উইকেট।
৭. অ্যান্ডি রবার্টস
টেস্ট জীবন শুরু করার মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে ১৯ টেস্টে ১০০ উইকেট লাভ করেন। মাত্র ৪৭ টেস্ট খেলে ২০২ উইকেট পেয়েছিলেন। টেস্টে সেরা বোলিং ৫৪ রানে ৭ উইকেট। কেরিয়ারের শেষের দিকে বোলিং-এ ঝাঁঝ কমে গেলেও লাইন ও লেংথে বোকা বানাতেন ব্যাটসম্যানদের।
৬. কলিন ক্রফট
৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই আক্রমণাত্মক ফাস্টবোলারের বাউন্সারের মোকাবিলা করার মত বুকের পাটা সে যুগে কম ব্যাটসম্যানেরই ছিল। শরীর লক্ষ্য করে আগুনে গোলার মত বল ছুটে আসত। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের এঁর বল খেলতে অসুবিধা হত। ১৯৭৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর টেস্টে অভিষেক হয়। এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই তিনি করেন তাঁর টেস্টের সেরা বোলিং। ২৯ রানে তুলে নেন পাকিস্তানের ৮ উইকেট।
৫. জোয়েল গার্নার
বিগ বার্ড নামে বিখ্যাত ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির এই ফাস্টবোলার ৫৮ টেস্ট খেলে ২৫৯টি উইকেট নিয়েছেন। ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৮ রা্ন দিয়ে ৫ উইকেট নেন।এই ম্যাচে একটি অবিশ্বাস্য স্পেলে মাত্র ৪ রান দিয়ে ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
৪. কোটর্নি ওয়ালস
১৯৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটে। ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির ওয়ালস ১৩২ টি টেস্ট ৫১৯ টি উইকেট নেন। টেস্টে সেরা বোলিং ৩৭ রানে ৭ উইকেট। ওয়ান ডে ম্যাচে সেরা বোলিং ১ রানে ৫ উইকেট। দুটি অদ্ভুত রেকর্ড আছে তাঁর নামের পাশে। ব্যাট করতে নেমে মোট ৪৩ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে যান এবং ৬১ বার ইনিংসের শেষে অপরাজিত থাকেন।
৩. কার্টলে অ্যামব্রোস
৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার এই বোলারের বলের হদিশ পেতেন না সে সময়ের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান। বোঝার আগেই উইকেট ছিটকে যেত, নাহলে ব্যাটের কানায় লেগে বল যেত স্লিপে বা কিপারের গ্লাভসে। টেস্টে সেরা বোলিং ৪৫ রানে ৮ উইকেট এবং ওয়ান ডে ম্যাচে ১৭ রানে ৫ উইকেট। ৯৮ টি টেস্টে ৪০৫টি উইকেট নেন অ্যাাম্ব্রোস।
২.মাইকেল হোল্ডিং
হরিণের মত মসৃণ ভঙ্গীমায় ছুটে এসে বল করতেন। আম্পায়াররা তাঁকে বলতেন হুইস্পায়ারিং ডেথ। ৬ ফু ৩১⁄২ ইঞ্চি লম্বা এই ফাস্টবোলার যেকোনও পিচে যেকোনও ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দিতেন।১৯৭৫ সালে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নেমেই ঘন্টায় ৯৭ মাইল বেগে বল করে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছিলেন। টেস্টে সেরা বোলিং ৯২ রানে ৮ উইকেট। ওয়ান ডে ম্যাচে ২৬ রানে ৫ উইকেট।
১. ম্যালকম মার্শাল
ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্টবোলারদের তালিকায় এঁর নাম প্রথম দিকেই থাকবে। বোলিং রান আপ ছিল দেখার মত, একটু মিড-অফ ঘেঁসে অনেকটা দূর থেকে ছুটে আসতেন বল নিয়ে। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড আউট করতেন, না হলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে বিপজ্জনক বাউন্সার দিতেন মার্শাল। টেস্টে সেরা বোলিং ২২ রানে ৭ উইকেট। ওয়ান ডে ম্যাচে ১৮ রানে চার উইকেট। মাত্র ৪১ বছর বয়েসে মারা যান এই বিশ্বত্রাস স্পিডস্টার।