শেষ আপডেট: 5th September 2023 13:09
যাদবপুরের (Jadavpur University) পর কসবা। অগাস্টের শুরুতে যাদবপুরের হস্টেলে এক ছাত্র মারা যায় (Jadavpur Student Death)। জানা যাচ্ছে, র্যাগিংয়ের জেরেই তার মৃত্যু ঘটেছে। সেই অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির রেশ এখনও মেলায়নি। সেপ্টেম্বরের শুরুতে কসবার একটি স্কুলে ফের এক ছাত্রের মৃত্যু (Student Death) ঘটল। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণের ফলে সে আত্মহত্যা করেছে।
মৃতের নাম শেখ শান। বয়স ১৬। সে ক্লাস টেনে পড়ত। সোমবার দুপুর দু'টো নাগাদ স্কুল চত্বরে তার দেহ (Kasba School Student Death) পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছেলেটির নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কেউ কেউ বলছেন, আসলে শেখ শানের ওপরে স্কুল কর্তৃপক্ষের রাগ ছিল। কোভিড পর্বে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের বেতনবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁদের মধ্যে শেখ শানের বাবাও ছিলেন। মৃতের মা বলেছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন, দশম শ্রেণির পরেই ছেলেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করবেন। ওই স্কুলে ছেলে বেশিদিন থাকুক, তা তাঁরা চাননি।
কারও কারও ধারণা, আদৌ পড়ে গিয়ে ছেলেটির মৃত্যু (Student Death)হয়নি। কারণ অত উঁচু থেকে পড়লে হাড় ভেঙে যাওয়ার কথা। কিন্তু শেখ শানের কেবল নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। শরীরে আর কোথাও ক্ষত ছিল না। অনেকের প্রশ্ন, স্কুলের কাছে একটি হাসপাতাল থাকতেও আহত ছাত্রটিকে দূরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেন।
ভরদুপুরে স্কুলের মধ্যে কোনও ছেলের মৃত্যু ঘটলে নানা প্রশ্ন উঠবেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তদন্তের গতিপ্রকৃতি স্থির করা হবে।
ঠিক কী কারণে ছেলেটি মারা গেল, তা অবশ্যই জানা দরকার। পুলিশকে তদন্ত শেষ করতে হবে দ্রুত। ওই শোচনীয় মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ী, তারা যেন রেহাই না পায়। কোনও ১৬ বছরের ছেলেকে যদি সকলের সামনে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, সেও একধরনের র্যাগিং। শুধু কলেজের সিনিয়র দাদারা হেনস্থা করলেই তাকে র্যাগিং বলে না। স্কুলে, অফিসে, আড্ডায় এবং আরও নানা জায়গাতেও র্যাগিং হয়। যদিও তার ধরন আলাদা। সময় বিশেষে র্যাগিং যে প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা যাদবপুরের ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে। শেখ শানের মৃত্যুর পিছনেও সেরকম কিছু ছিল কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখুক।
এই ঘটনা থেকে অন্যান্য স্কুলেরও শিক্ষা নেওয়া উচিত। কিশোর-কিশোরীদের মন বড়দের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল। ছাত্রছাত্রীরা দোষ করলে নিশ্চয় শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু শাস্তি যেন মাত্রাছাড়া না হয়। কারণ তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: র্যাগিং রোগ