শেষ আপডেট: 3rd October 2023 18:26
বীরেন জে শাহর পর রাজ্যপাল হয়ে আসেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। এক বিশাল মাপের বুদ্ধিজীবী। অসাধারণ তাঁর পারিবারিক উত্তরাধিকার। পিতামহ মহাত্মা গান্ধী। মাতামহ চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী। এই গোপালাচারী আবার পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপাল।
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এসেই রাজ্যপালদের জন্য সম্মাননীয় সম্ভাষণ ‘হিজ এক্সেলেন্সি’-টি উঠিয়ে দিলেন। ওঁর স্ত্রী তারা গান্ধী উঠিয়ে দিলেন আবশ্যকীয় ‘ফার্স্ট লেডি’ সম্ভাষণটি। উনি বললেন, ‘আমি যদি ফার্স্ট লেডি হই তাহলে সেকেন্ড লেডি কে? থার্ড লেডি-ই বা কে?’
শ্রীমতী গান্ধী একজন বিশিষ্ট পক্ষীবিশারদ। বিখ্যাত পক্ষীবিশারদ সালেম আলির ছাত্রী। খুব সুন্দর গান করতেন। এমনকী রবীন্দ্রসংগীতেরও চর্চা করতেন। তাঁর স্বামীর সব চেয়ে প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত হল, ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়।’
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাজভবনে এসেই বাংলা শেখা শুরু করেন আমার কাছে। ওঁকে বাংলা শেখাতে গিয়ে আমায় নিদারুণ পরিশ্রম করতে হয়। গান্ধী স্যার কিন্তু সর্বত্র, বিভিন্ন সভায় বলতেন, ‘ধ্রুব আমার বাংলা শিক্ষক’। এমনকী সাংবাদিকদের কাছেও আমার অনুবাদের প্রশংসা করেছেন। প্রথমে প্রাথমিক সূচি, তারপরে সংবাদপত্র, তারপরে সাহিত্য নিয়ে আমাদের বাংলা ক্লাস শুরু হল। আমি মহাশ্বেতা দেবীর ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসটি ওঁর সামনে পড়তাম। তার ইংরেজি করে দিতাম। উনি আরেকটা বই নিয়ে সেটা পুনরাবৃত্তি করতেন মনে মনে। একদিন পড়তে পড়তে বলে ফেললাম, ‘এই আখ্যানটাতে নারীবাদের ডোজ বড় বেশি দেওয়া আছে।’
উনি খুব রেগে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, দেশে নারীবাদেরও দরকার আছে। আর একদিন বইটা পড়তে পড়তে কী একটা প্রসঙ্গে বললেন, ‘জান তো, লক্ষ্মণ কোনওদিন সীতার মুখের দিকে তাকায়নি।‘ আমিও ওঁকে রামায়ণের পাল্টা একটি খণ্ডকাহিনি শোনালাম।
গল্পটা এরকম, কুম্ভকর্ণকে ঘুম থেকে ওঠাবার পর রাবণকে জিজ্ঞেস করল, ‘দাদা, এমন কী ঘটেছে যাতে আমাকে অসময়ে জাগিয়ে তুলতে হল!
‘এক নর আর এক বানর আমাদের লঙ্কা ছারখার করে দিচ্ছে।‘
‘সে কী! তুমি বিশ্বজয়ী রাবণ। আর এক নর তোমার দেশ ছারখার করে দিচ্ছে! তা তুমি কী করেছ?’
‘আমি তাঁর স্ত্রীকে অপহপণ করে এনেছি।‘
‘তুমি কি সেই নারীকে শরীর স্পর্শ করেছো।‘
‘না।‘
‘কেন না?’
‘তিনি তাঁর চারপাশে এমন এক মন্ত্রপূত গণ্ডি করে রেখেছেন যে, আমি সেখানে জোর করে ঢুকতে গেলেই ভস্ম হয়ে যাব।‘
‘তার স্বামীর নাম কী?’
‘রাম।‘
‘তা তুমি তো মায়ার অধীশ্বর। তুমি রাম সেজে ঢোকো না কেন?’
‘কী করব? রাম সাজলেই তো আমার পৃথিবীর সমস্ত মেয়েকে হয় মা, নয় বোনের মতো মনে হয়।‘
গল্পটা শেষ করার পর দেখলাম গোপালকৃষ্ণ গান্ধী সাহেবের চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছে।
তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে অনেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন গান্ধী। কুষ্ঠ আশ্রম সফর করতে গেছেন। সেখানে কুষ্ঠ রোগীরা তাঁদের আক্রান্ত হাত দিয়ে তাঁর সঙ্গে করমর্দন করছেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন। রাজ্যপাল কিন্তু হাসিমুখেই রয়েছেন। চেন্নাইতে নিজের বাড়ি গেছেন। স্টেশন থেকে নেমে ট্যাক্সি বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্য যাত্রীরা বলল, ‘আরে স্যার করছেন কী, আপনার কনভয় কোথায় গেল?’
‘কী আছে, এটা তো আমার নিজের জায়গা।‘ এই বলে মহামহিম যথারীতি লাইনেই দাঁড়িয়ে রইলেন।
এয়ারপোর্ট চলেছেন কনভয় নিয়ে, দেখলেন ‘মা’ ফ্লাইওভারের ওপর এক ভদ্রলোক তাঁর মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের গাড়ি খারাপ হয়ে গেছে এবং তাঁরাও এয়ারপোর্টে যাবেন। কনভয় থামিয়ে তাঁদের গাড়িতে তুলে নিলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা একসময়ে ‘আমার কলকাতা’ নামে একটা ধারাবাহিক ফিচার চালু করেছিল। তার প্রথম লেখাটাই লিখেছিলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। ইংরিজি লেখার বাংলা করেছিলাম আমি। লেখাটির জন্য কলকাতার গ্রাউন্ড জিরোকে প্রত্যক্ষ করবেন বলে একদিন গোপনে বের হলেন। রাজভবন থেকে গাড়ি করে গেলেন চাঁদনি মেট্রো স্টেশন। সেখান থেকে মেট্রোয় যতীন দাস পার্ক। যতীন দাস পার্ক স্টেশনে নেমে একটা মিনি বাসে উঠলেন। সামনের দিকে একটা সিট পেয়ে বসেছেন, এমন সময় এক প্রবীণা হিন্দিভাষী মহিলা, হাতে ভারী ব্যাগ, উঠে বললেন, ‘এই সিট ছোড়ো।‘
রাজ্যপাল কিছু না বলে আসন ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর মহামেডান স্পোর্টিং মাঠের সামনে নেমে খানিকক্ষণ বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে তারপর হেঁটে হেঁটেই রাজভবনে ফিরে এলেন।
গান্ধীর একটা অভ্যাস ছিল কিছু লিখে বার বার কাটা বা সংশোধন করা। আমার প্রায় দম বেরিয়ে যেত। সমস্যাটা আরও হতো, কারণ রাজভবনে সে সময়ে আমার কোনও স্টেনো বা টাইপিস্ট ছিল না। একে তাকে ধরে টাইপটা করাতে হতো। একবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্যোতি বসুকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া হল। সেই সভার মুখ্য বক্তা ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। বক্তৃতা লেখা হয়ে গেছে। আট পৃষ্ঠার মতো ছাপা লেখার সেটের সংখ্যা প্রায় আশিটা, অকুস্থলে সাংবাদিকদের বিতরণ করার জন্য। সম্বর্ধনার দিন কনভয় রাজভবন থেকে স্টার্ট করতে যাবে, ঠিক তার মিনিট দশেক আগে আমাকে বললেন, ‘বক্তৃতায় অমুক লাইনটা কেটে এই লাইনটা বসাও।’
আমার তো মাথায় হাত। এতগুলো সেটে ওই লাইনের পৃষ্ঠাটা বাতিল করে নতুন করে একটা পৃষ্ঠা টাইপ করিয়ে আবার সেট করে কনভয়ে ওঠার সময় কোথায়? শেষে বাধ্য হয়ে আমি তখনকার মতো সমস্ত সেটগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ওখানে বসে আগের লাইনটা কেটে ওঁর কথামতো নতুন লাইনটা হাতে লিখে বসিয়ে দিলাম। উনি সেটা দেখেই পড়লেন।
এটা নিয়ে কোনও কাগজ কিছু লিখল না। শুধু একটা দৈনিকে ওই সংশোধিত লাইনটা তুলে ধরে বলা হল, এই লাইনটা হাতে লিখে বসানো হয়েছে। খবরটা পড়ে মহামহিম রাজ্যপাল তো রেগে আগুন। আমাকে প্রচণ্ড বকাবকি করলেন। তার সাথে আর একজন অফিসারকে—তবে তার ক্ষেত্রে ডোজটা একটু কম। স্বভাবতই আমি ভেঙে পড়েছিলাম। পরদিন সকালে ঘরে বসে দরখাস্ত লিখছি যে, আমি মহাকরণে ফিরে যেতে চাই। এমন সময়ে গান্ধী স্যারের একটা চিরকুট হাতে এল। লেখা ‘ধ্রুব, আই অ্যাম সরি।’
আমার চোখে জল এসে গেল, কারণ ভগবান আমার জীবনে এক মহাত্মার এক মহৎহৃদয় নাতির অধীনে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন বলে। সেই চিরকুটটা এখনও আমার কাছে আছে।
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী একদিন হাওড়া স্টেশনে গেছেন পুরনো হাওড়া স্টেশনের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সহস্রাধিক দর্শক-অতিথি পরিবৃত মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন, ‘আচ্ছা, আপনারা যে প্ল্যাটফর্মে ঢুকেছেন, কেউ প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটেছেন?’
কেউ প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটেননি। রাজ্যপাল গান্ধী পকেট থেকে একটা প্ল্যাটফর্ম টিকিট বের করে বললেন, ‘আমি কিন্তু প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটেছি।’
তিনি বিরাট সম্মান দিয়েছেন আমার মা এবং আমার পরিবারকে। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ, যে গ্রন্থের রয়্যালটি তিনি রাজ্য হেরিটেজ কমিশনকে দান করে দিয়েছেন, সেই ‘A Frank Friendship: Gandhi and Bengal’ আমার মা-কে নিয়ে এক পাতা আলোচনা করেছেন। আমার মা গান্ধীজির একজন ঘনিষ্ঠ শিষ্যা ছিলেন।
২০০৭-এর মার্চে নন্দীগ্রাম গণহত্যার পরে প্রশাসনের বিবেক হিসেবে এবং পরিবর্তনের হাওয়ার অগ্রদূত হিসেবে তাঁর আলোড়নকারী ভূমিকার কথা তো আমরা সবাই জানি।
বস্তুত রাজ্যপাল হিসেবে মাননীয় গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর কার্যকালকে প্রশাসনের ইতিহাসের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক দলিল বলা যেতে পারে মনে হয়।
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাজভবন ছেড়ে বিদায় নেওয়ার পর রাজ্যপাল হয়ে আসেন মায়ানকোটে কেলাথ নারায়ণন। রাজ্যপাল হওয়ার আগে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, এখন যে পদে আছেন অজিত দোভাল। নারায়ণন সাহেব একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতি বিশেষজ্ঞ। খুব গান শুনতে ভালবাসতেন। দাতা মানুষ ছিলেন। রাজ্যপাল হিসেবে যেখান থেকে যা পেতেন, তা সমস্ত রাজভবনের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিলি করে দিতেন। রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির শতবর্ষ উপলক্ষে রাজভবনে বিশ্বভারতীর সহযোগে খুব বড় করে উৎসবের আয়োজন করেছিলেন।
একবার এরকম একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন খুব ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। রাজভবনের লনে যে মেরাপটি তৈরি হয়েছিল, সেখানে বসে তিনি ও অন্যান্য অতিথি ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানটি দেখছিলেন। ঝড় আরম্ভ হতেই সবাই এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। নারায়ণন স্যার যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ লোকটি মণ্ডপ ছেড়ে না যায়, মণ্ডপের নীচেই ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর সবার শেষে যখন বেরোচ্ছেন, মণ্ডপটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল। নারায়ণন স্যার তখন মণ্ডপ থেকে তিন থেকে চার পা দূরে। একটুর জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।
প্রতিদিন সকালে দফতরে এসে সবার প্রথমে আমার কাছ থেকে মিডিয়ায় কী কী খবর বেরিয়েছে সে সম্বন্ধে ব্রিফিং নিয়ে নিতেন। কাজে খুশি হয়ে আমাকে তিন বছরের জন্য অবসর-গ্রহণোত্তর এক্সটেশন দিয়েছিলেন।
ওঁর উত্তরসূরি কেশরীনাথ ত্রিপাঠি একসময়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার ছিলেন, আইনের একজন বিশেষজ্ঞ এবং নামী হিন্দি কবি। ইনি এসে রাজভবনের স্যুইটগুলোর ব্রিটিশ নাম পাল্টে ভারতীয় নামকরণ করেন। যেমন প্রিন্স অফ ওয়েলস স্যুইট হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কক্ষ। অ্যান্ডারসন স্যুইট হল বিবেকানন্দ কক্ষ ইত্যাদি।
ত্রিপাঠি স্যারের সঙ্গে আমি বেশিদিন কাজ করতে পারিনি। যদিও তিনি আমাকে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমলাতন্ত্রের লৌহ যবনিকা তা হতে দেয়নি।
রাজভবনে যে সব ভিআইপি-রা আসতেন তাঁদের পছন্দের খাবার সম্বন্ধে যেটুকু শুনেছি—নুরুল হাসানের পছন্দ করতেন সামোসা ও পুডিং, বীরেন জে শাহ পাওভাজি। জ্যোতি বসুর পছন্দ ছিল আড় মাছ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জি ট্যাংরা মাছ।
রাজভবনে আসা রাজ্যপাল ও দেশনেতাদের পছন্দের খাবার সম্বন্ধে রাজভবনের এক সময়ের বিখ্যাত শেফ তেজেন বড়ুয়া লিখেছেন, ‘জওহরলাল নেহরু ভীষণ ভালবাসতেন ভেটকির ফ্রাই। … মাছটা ভিতরে যেন খুব শক্ত না হয়ে যায়। আর ফ্রাইয়ের গায়ে এতটুকু পোড়া দাগ থাকলেই সর্বনাশ। ফ্রাইয়ের ওপর লেবুর রস দিয়ে খেতেন… তারপর খেতেন ডিমেডাফ। এটা খুব শক্ত রান্না। মুরগির ভিতর আর একটা মুরগি পুরে দিতে হত। কোনও মুরগিতে একটিও হাড় থাকবে না…।‘
তিনি আরও লিখেছেন, ‘রাজভবনে তখন রান্নাঘরের চেহারাটাই অন্যরকম ছিল। প্রত্যেকটা বেসিনে আলাদা আলাদা তোয়ালে, সাবান, নখ পরিষ্কার করার যন্ত্র সব থাকত। রান্নাঘরের তদারকি যিনি করতেন, তিনি আমাদের নখ পরীক্ষা করে দেখতেন (সূত্রঃ পত্রিকা, শারদীয়া, ১৪০১)। বড়ুয়া সাহেবের এই স্মৃতিচারণায় ব্রিটেনের মহারানি এলিজাবেথকে কী কী খাওয়ানো হয়েছিল তারও একটা চিত্তাকর্ষক বর্ণনা আছে।
এই হল আমার রাজভবনে রাজসুখে থাকার অভিজ্ঞতার বর্ণনা। অনেক দুঃখের অভিজ্ঞতাও আছে। তবে সেগুলো না হয় নিজের অন্ধকার হৃদয়কন্দরেই লুকিয়ে রেখে দিলাম।
তবে হালে মহা সামাজিক সংকটে পড়েছি। চাকুরী জীবনের শেষ পনেরো বছর কাজ করেছি রাজভবনে। সেখানকার প্রেস সচিব হিসেবে। শেষে ২০১৫- র মার্চে বিদায় নিয়েছি। এখনও রাস্তায় সুধীজনের সঙ্গে দেখা হলেই প্রশ্ন-'এ কী! রাজ্যপাল এসব কী করছেন? বা 'রাজ্যপালের কী দরকার এসব করার?' বা 'আচ্ছা, রাজ্যপাল কি ৩৫৬ ধারা করতে চলেছেন?' যেন মাননীয় রাজ্যপালকে কানে কানে আমিই এই সব বুদ্ধি দিয়ে আসছি। কী আর করব, প্রশ্নকর্তার থেকে পালানোর চেষ্টা করি।
(শেষ)
লেখক অবসরপ্রাপ্ত প্রেস সচিব, রাজবন, পশ্চিমবঙ্গ