শেষ আপডেট: 10th May 2018 04:22
উন্নয়ন ও বাহুবল
পঁচিশে বৈশাখে এ বার একটি নয়, আলোচ্য বিষয় ছিল দুটো। প্রথমে অতি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ। পাড়ায় পাড়ায় প্রভাত ফেরিতে ' হে নূতন' এর চেনা সুর দিয়ে দিন শুরু, তার পরে গোটা দিন জুড়ে হোয়াটস অ্যপের অবাধ বিচরণের সুবাদে ইউ টিউব তাঁর কত গান ই না শোনালো আমাদের। এক কালে পঙ্কজ মল্লিক হেমন্ত রা যে কাজ শুরু করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের গান কে আম বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া-----ইউ টিউব তার হদ্য মুদ্য করেছে।
কণিকা- দেবব্রত- জয়তী- শ্রীকান্ত শুনতে শুনতেই বাঙালি গোটা দিন চর্চা করেছে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও। বাদ যাননি নিখাদ শহুরে বাঙালিও। যাঁদের সঙ্গে এমনিতে এই পঞ্চায়েত বিষয় টার কোনোই লেনাদেনা নেই। সকলেই সকল কে জিজ্ঞেস করছেন, মশাই তা হলে কী দাঁড়াল বলুন দেখি? ভোট টা হচ্ছে না কি হচ্ছে না? কিছুই তো ছাই মাথায় ঢুকছে না।
সত্যি কথা বলতে কী, বিষয় টি বেশ অস্বচ্ছ জায়গায় চলে গেছে। ভোট নির্ধারিত দিনে হবে কি না তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা। হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্ট এই বেঞ্চ সেই বেঞ্চ-----সব মিলিয়ে কেমন যেন সব গুলিয়ে ঘন্ট পেকে যাচ্ছে।
অথচ এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। সব ঠিকঠাক চললে এত দিনে তো রেজাল্ট আউটই হয়ে যেত। এবং এই সূত্রেই প্রশ্ন উঠছে, এই জটিলতা সত্যি কতটা জরুরি ছিল। কতটা অনিবার্য ছিল চোখ রাঙানি আর বাহুবল প্রদর্শন। হানাহানি, অগ্নিসংযোগ আর রক্তপাত। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে গাঁ গঞ্জের সার্বিক পরিকাঠামোর যথেষ্ট 'উন্নয়ন' সত্যি সত্যি করেও শেষে সেই শব্দটিকে লঘু করে ফেলা, কিংবা স্থানীয় নেতাদের মুখ দিয়ে তার সচেতন অর্থবিকৃতি ঘটানো কি রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয়?
নন ইস্যু কে জোর করে ইস্যু বানিয়ে, মূল্যবান সময়ের অপচয় যদি বাংলা বন্ধ না করে, কালক্রমে উন্নয়ন কিন্তু কোথাওই দাঁড়িয়ে থাকবে না।
কবে সেটা বুঝব ভাই??