
অমল সরকার
বৌভাতের দুপুরে পাত্র-পাত্রী দু’জনের হাতেই ভাতের থালা। মালা বদলের মতো থালা বদল চাক্ষুষ করলেন উপস্থিত সকলে। সারা জীবন একে-অপরকে ভাতকাপড় জোগানোর শপথও নিলেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ছড়িয়েছে সিউড়ির চিকিৎসক ও সমাজকর্মীর বিয়ের এমন অভিনব ভাবনা। ভাত-কাপড়ের ভার নেওয়ার অঙ্গীকার কেন শুধু স্বামীকেই করতে হবে, এই প্রশ্নের থেকেও দুর্ভাবনার বিষয় হল, যুগ-যুগান্ত ধরে চলে আসা পুরুষের এই অঙ্গীকার আসলে নারীর প্রতি অবমাননা। সিউড়ির নব দম্পতি নতুন পথে হাঁটলেন।
মান্যবরের বিজ্ঞাপনে বিয়ের দৃশ্যে কন্যাদানের পরিবর্তে কন্যামান শব্দটি ব্যবহার করে এভাবেই ভাবনায় বদল আনার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদীরা বিজ্ঞাপনটি নিয়ে আপত্তি তোলে। তাদের বক্তব্য, কন্যাদান শব্দটির মধ্যে সনাতন ভারতের সংস্কৃতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। অতএব বিজ্ঞাপন হটাও।
সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের মঙ্গলসূত্র বিজ্ঞাপনটি তো শেষ পর্যন্ত তুলেই নিতে হল মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রর হুমকির মুখে। হিন্দুত্ববাদীরা আপত্তি তুলেছে ফ্যাব ইন্ডিয়া এবং ডাবরের বিজ্ঞাপন নিয়েও। এর আগে বন্ধ হয়েছে তনিষ্কের বিজ্ঞাপন।
বিজ্ঞাপনের ভাষা, চিত্রায়ন ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু হালের আপত্তির সঙ্গে অতীতের চরিত্রগত ফারাকটা লক্ষ্যণীয়। চলমান আপত্তির মোড়কে অসহিষ্ণুতা মূলত হিন্দুত্ববাদীদের এবং বিরোধিতার পিছনে আছে বিজ্ঞাপনে সনাতন ভাবনা, সংস্কৃতিকে আঘাত করার অভিযোগ। তাই দীপাবলিতে ফ্যাব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞাপনে উর্দু শব্দের ব্যবহার নিয়েও আপত্তি বাদ গেল না।
বিজ্ঞাপনের ভাষা, চিত্রায়ন ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু হালের আপত্তির সঙ্গে অতীতের চরিত্রগত ফারাকটা লক্ষ্যণীয়। চলমান আপত্তির মোড়কে অসহিষ্ণুতা মূলত হিন্দুত্ববাদীদের এবং বিরোধিতার পিছনে আছে বিজ্ঞাপনে সনাতন ভাবনা, সংস্কৃতিকে আঘাত করার অভিযোগ। তাই দীপাবলিতে ফ্যাব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞাপনে উর্দু শব্দের ব্যবহার নিয়েও আপত্তি বাদ গেল না।
হালে অসহিষ্ণুতার আরও নজির দেশের নানা শহরে আমিষ খাবারের বিরুদ্ধে রীতিমতো জেহাদ। খোলাখুলি বলা হচ্ছে, হিন্দুস্থানের মেনুতে মাছ-মাংস-ডিম না থাকাই বাঞ্ছনীয়।
বছর কুড়ি আগে ভোটের খবর করতে গিয়ে আমেদাবাদ শহরে বিজেপির রাজ্য দফতরের অদূরে এক হোটেলে উঠেছিলাম। বাঙালি জানতে পেরে মুসলিম মালিক ভদ্রলোক ঘর দেওয়ার আগে বলেছিলেন, দয়া করে মাছ-মাংস-ডিম খেতে চাইবেন না। জানতে চেয়েছিলাম, আপনি কী খান? আপনি নিরামিষাশী? জবাব পেয়েছিলাম, ‘ইচ্ছে একেবারে চাপতে না পারলে, বাড়ির লোকজন বায়না ধরলে এধার-ওধার গিয়ে খেয়ে আসি।’
বছর কুড়ি আগে ভোটের খবর করতে গিয়ে আমেদাবাদ শহরে বিজেপির রাজ্য দফতরের অদূরে এক হোটেলে উঠেছিলাম। বাঙালি জানতে পেরে মুসলিম মালিক ভদ্রলোক ঘর দেওয়ার আগে বলেছিলেন, দয়া করে মাছ-মাংস-ডিম খেতে চাইবেন না। জানতে চেয়েছিলাম, আপনি কী খান? আপনি নিরামিষাশী? জবাব পেয়েছিলাম, ‘ইচ্ছে একেবারে চাপতে না পারলে, বাড়ির লোকজন বায়না ধরলে এধার-ওধার গিয়ে খেয়ে আসি।’
সেই আমেদাবাদ, সেই গুজরাত এখন এতটাই বদলে গিয়েছে যে রাজ্যের বেশ কিছু শহরে হালে আমিষ স্ট্রিট ফুড একপ্রকার নিষিদ্ধই করে দেওয়া হয়েছে। চলছে অভিযান। কিন্তু ভোট বড় বালাই। শিয়রে বিধানসভার নির্বাচন। পরিস্থিতি আঁচ করে মুখ্যমন্ত্রী তাই হস্তক্ষেপ করেন। কারণ খাস গুজরাতিদের খাদ্য তালিকায় আমিষ, বিশেষ করে ডিম, মাংস এখন আর পুরোপুরি অচ্ছুত নয়। গুজরাত প্রবাসী বাঙালিদেরও আগের মতো নিরামিষ গিলে থাকতে হয় না। মাছ-মাংসের গন্ধ পেলে বাড়িওয়ালাও কথায় কথায় বাড়ি ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেন না। তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীরা খোদ মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে খাদ্যভাসে এই পরিবর্তনকে হয়তো নিজেদের পিছু হটা মনে করছে।
হয়তো বা সেই কারণেই বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার খানিক নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ‘গো অ্যাজ ইউ লাইক’—কৌশল নিয়েছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ যে সব অভাবনীয় কাণ্ড ঘটছে, তাতে এই পরিস্থিতিকে আর কী-ই বা বলা যায়। কিন্তু সবকা সাথ-থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নরেন্দ্র মোদী চুপ।
হয়তো বা সেই কারণেই বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার খানিক নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ‘গো অ্যাজ ইউ লাইক’—কৌশল নিয়েছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ যে সব অভাবনীয় কাণ্ড ঘটছে, তাতে এই পরিস্থিতিকে আর কী-ই বা বলা যায়। কিন্তু সবকা সাথ-থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নরেন্দ্র মোদী চুপ।
উত্তরপ্রদেশে কোন শহরের নাম কবে বদলে যাবে, কেউ বলতে পারে না। নামের সঙ্গে আরবি-ফারসি-উর্দু যোগ থাকলে তো কথাই নেই। যোগীর সর্বশেষ খেয়াল, আগ্রার মুঘল রোডের নাম বদলে করেছেন রাজা অগ্রসেন রোড। গো-মাংস বিক্রি নিয়ন্ত্রণ, ঘর ওয়াপসি, ভালোবাসার সম্পর্ককে লাভ জেহাদ বলে দেগে দিয়ে তা আটকানোর নামে আইন করে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে কার্যত নিষিদ্ধ করার মতো এত কিছুর পরেও মেরুকরণ অস্ত্রেই খুব একটা ভরসা রাখতে পারছে না।
অথচ, যোগীকে নকল করেই এগোচ্ছে বিজেপি শাসিত বাকি সব রাজ্য। অসমের তো মুখ্যমন্ত্রী নামটাই মাঝেমধ্যে গুলিয়ে যায়। উত্তর-পূর্বের যোগী হওয়ার দৌড়ে তাঁর ধারেকাছে নেই কেউ। কিন্তু এত করেও মেরুকরণের অস্ত্রে আরও শান দিতে হালে যোগীকে এমন কথাও বলতে হয়েছে, বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকার সময় নাকি শুধু আব্বাজান বলা লোকেরাই রেশনে ভালোমন্দ পেত।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে গোটা গেরুয়া শিবির চিন্তিত। তারা জানে, সেখানে হাওয়া ঘুরতে শুরু করলে তা দিল্লির দিকে ধাওয়া করবে। তাই নরেন্দ্র মোদীর মুখ চেয়ে যোগীর পাশে দাঁড়াতে ব্যস্ত ছোট-বড় সব নেতা। পাশের রাজ্য মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেত্রী সেই দায় থেকেই আচমকা ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিতে সকালে মাইকের আওয়াজে ঘুমের ব্যাঘাতের কথা বলে একপ্রকার ভোরের আজানকে নিশানা করেছেন। গুরুগ্রামের ঘটনা তো ভয়াবহ। সেখানে মুসলিমদের নামাজ পড়ার জায়গায় পদে পদে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সত্যি কথা বলতে কী, পরিস্থিতি বাবরি ধ্বংস পর্বের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। পুজোর মুখে মোহন ভাগবত আরএসএস-এর অঙ্গ-সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের সভায় হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই জাতীয় সম্প্রীতির কথা বলে কৌশলে কার্যত মুসলিমদের শিকড়-সহ উপড়ে ফেলার কথাই বলতে চেয়েছেন।
সত্যি কথা বলতে কী, পরিস্থিতি বাবরি ধ্বংস পর্বের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। পুজোর মুখে মোহন ভাগবত আরএসএস-এর অঙ্গ-সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের সভায় হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই জাতীয় সম্প্রীতির কথা বলে কৌশলে কার্যত মুসলিমদের শিকড়-সহ উপড়ে ফেলার কথাই বলতে চেয়েছেন।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের আর দোষ কী, যদি তাঁর অমন মন্তব্যের পরেও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকতে পারেন। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রীর মুখ থেকে শুনতে হল, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই নাকি দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে। ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা প্রাপ্তি ছিল ভিক্ষার দান। প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অফিস, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রী এমনকি তামাম গেরুয়া শিবির থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের এমন অবমাননার কোনও প্রতিবাদ শোনা গেল না।
সত্যি কথা বলতে স্বয়ং মোদীই পারলে স্বাধীনতা আন্দোলনটা অস্বীকার করেন। গত সপ্তাহে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতা সংগ্রামী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে সংসদ ভবনের অনুষ্ঠানে মোদীর একজন মন্ত্রীও হাজির ছিলেন না। ইন্দিরার মৃত্যুদিনে তিনি পূর্বসূরির নাম করে এক লাইন টুইট করেন। সেদিনই সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে ভিডিও বার্তা দেন।
দিল্লিতে মোদী জমানার সূচনা এবং রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এমন কত ঘটনারই না সাক্ষী দেশ। হরিয়ানায় স্কুলে গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা হয়েছে। গীতাকে ‘জাতীয় গ্রন্থ’ ঘোষণার দাবিও তোলা হয়েছে। চার্চে, মসজিদে হামলার একাধিক ঘটনায় দেশ সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার ঘোষণা তো আছেই, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাঁর সরকার সবকা সাথ। কিন্তু উপাসনালয়ে হামলা, নামাজ পড়ায় বাধাদান, নেতাদের ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য, খাবার, বিয়ে-শাদিতে নিত্যনতুন ফতোয়া ইত্যাদিতে প্রধানমন্ত্রী নীরব। তাঁর মন্ত্রী, কিংবা বিজেপির নেতা, যাঁর যখন যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছেন। মোদী মুখে রা কাড়েন না। আসলে এই ভারতই তাঁর মন কী বাত।
এই ব্যাপারে তাঁর তপস্যা, সংকল্পে ব্যাঘাত ঘটানোর সামান্যতম সুযোগও তিনি অবশিষ্ট রাখেননি। তিনিই সম্ভবত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না। টুইট করেই যা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দেন। তাতে কাজ না হলে হয়তো দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক লাইভ করছেন।
এই ব্যাপারে তাঁর তপস্যা, সংকল্পে ব্যাঘাত ঘটানোর সামান্যতম সুযোগও তিনি অবশিষ্ট রাখেননি। তিনিই সম্ভবত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না। টুইট করেই যা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দেন। তাতে কাজ না হলে হয়তো দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক লাইভ করছেন।
অবশ্য, তারই বা আর বাকি কী? টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ আসলে এক কৌশল। দিন কয়েক আগেই যেমন বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করতে সাত সকালে টিভিতে হাজির হলেন। বলেছেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা কৃষি আইন তিনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, প্রদীপের আলোর মতো সব সত্য কৃষক ভাইদের বোঝাতে পারিনি।’
আইন বাতিলের ঘোষণার উন্মাদনায় প্রায় সকলেই বুঝি ভুলে গেলেন, রাজনীতিক নরেন্দ্র মোদীর অভিধানে ক্ষমা শব্দটির ব্যবহার নেই বললেই চলে। গেরুয়া শিবির প্রধানমন্ত্রীর এই অতিবিরল আচরণকেই পাল্টা হাতিয়ার করে বলছেন, এমন নজির আর আছে নাকি? বিজেপির টুইটার-ফেসবুক সেনা প্রচার করেছে, ইন্দিরা গান্ধী মাঝ রাতে, দেশ যখন ঘুমিয়ে, তখন চুপি চুপি জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। আর মোদী মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের সামনে ক্ষমা চেয়েছেন। এমন উদারতার নজির আছে নাকি?
আছে। দৃষ্টান্ত স্বয়ং মোদীই। কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তির মুখে মোদী যেদিন তিন বিকর্কিত কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন, ততদিনে আন্দোলনের বলি হয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশো কৃষক। কারণ, উত্তরপ্রদেশে ভোটের আর মাস চারও বাকি নেই।
এই মোদীকে প্রথম চেনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নামার আগ মূহূর্তে। ২০০২-এ নিজের রাজ্যে দাঙ্গা রুখতে ব্যর্থ গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেদ্র মোদীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু, হাজার হাজার পরিবার ঘর ছাড়া হওয়া এবং বিপুল সম্পত্তি নষ্টের ঘটনাতেও সেদিন ক্ষমা চাওয়া দূরে থাক, সামান্য অনুতাপও করেননি। সেই নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চান এক দশক পর, যখন বিজেপি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে। ভোটের স্বার্থে ক্ষমা প্রার্থনায় দশক পেরিয়ে যায়। সেই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও দৃশ্য গভীরে চাক্ষুষ করলে অবশ্য বোঝা যায়, সেই ক্ষমা চাওয়াও ছিল না চাওয়ার মতো করে চাওয়া।
সেই নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চান এক দশক পর, যখন বিজেপি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে। ভোটের স্বার্থে ক্ষমা প্রার্থনায় দশক পেরিয়ে যায়। সেই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও দৃশ্য গভীরে চাক্ষুষ করলে অবশ্য বোঝা যায়, সেই ক্ষমা চাওয়াও ছিল না চাওয়ার মতো করে চাওয়া।