হোটেলের ঘরে সিলিং ফ্যান না থাকাটা নিছকই ‘ডিজাইনের ব্যাপার’ নয়। এর পিছনে রয়েছে একগুচ্ছ ব্যবহারিক এবং নিরাপত্তাজনিত যুক্তি।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 5 July 2025 12:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হোটেলের ঘরে ঢুকে উপরের দিকে তাকিয়ে যদি ফ্যান খুঁজে না পান, তাহলে অবাক হবেন না। কারণ আপনি একা নন, অনেকেই খুঁজে পান না। ভারতে, যেখানে ঘরে ঘরে সিলিং ফ্যান প্রায় বাধ্যতামূলক, সেখানে হোটেলের ঘরে তার অনুপস্থিতি যেন কিছুটা অস্বাভাবিকই লাগে। তবে এটা নেহাতই ডিজাইনের খামতি নয়, এর পেছনে রয়েছে একাধিক যুক্তিসঙ্গত কারণ। আমরা দেখি ফ্যান নেই কিন্তু কেন নেই বা থাকে না জেনে নিন।
১. সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়
অনেক হোটেলের ঘরে বিছানার মাথার দিকটা উঁচু হয় বা বিছানাটি এমনভাবে রাখা হয় যাতে ঠিক তার ওপরে ফ্যান বসানো সম্ভব হয় না। এর ফলে কোনও অতিথি যদি বিছানার ওপর উঠে দাঁড়ান বা হাত বাড়ান, তাহলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই বিপদ আরও বাড়ে। তাই হোটেলগুলি ঝুঁকি না নিয়ে সিলিং ফ্যান বাদই দেয়।
২. দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক ডিজাইনের খাতিরে
আধুনিক হোটেলগুলি ঘরের ইন্টিরিয়র ডিজাইনের প্রতি খুব যত্নশীল। ঘরের অন্দরসজ্জা ঝকঝকে ও মসৃণ রাখার চেষ্টা চলে সবসময়। সিলিং ফ্যান অনেক সময়েই এই আধুনিক লুককে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই এয়ার কন্ডিশনিংই পছন্দের অপশন।
৩. ফ্যানের আওয়াজ হতে পারে বিরক্তির কারণ
শুরুতে ফ্যান শান্ত থাকলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ ফ্যানে কিচকিচ আওয়াজ শুরু হয়ে যায়। ফলে বিরক্ত হতে পারেন অতিথিরা। তাই অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ সিলিং ফ্যান এড়িয়ে চলে।
৪. রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন হয়ে পড়ে
হোটেল ঘরের সিলিং বেশ উঁচু হয়। ফলে ফ্যান থাকলে নিয়মিত পরিষ্কার করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একাধিক ঘরে প্রতিদিন এই কাজ করা হাউসকিপিংয়ের পক্ষে সময়সাপেক্ষ। ফ্যানের বদলে এয়ার কন্ডিশনার থাকলে পরিষ্কার করাও তুলনায় সহজ।
৫. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ফ্যানের চেয়ে এসি অনেক এগিয়ে
অতিথিরা আবহাওয়া অনুযায়ী যেমন তাপমাত্রা পছন্দ করেন, তা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় এসি থাকলে। তাপমাত্রা বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা ফ্যানের হয় না। তাই এসিই প্রাধান্য পায়।
সুতরাং, হোটেলের ঘরে সিলিং ফ্যান না থাকাটা নিছকই ‘ডিজাইনের ব্যাপার’ নয়। এর পিছনে রয়েছে একগুচ্ছ ব্যবহারিক এবং নিরাপত্তাজনিত যুক্তি।