শেষ আপডেট: 1st January 2025 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নতুন বছর শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের নতুন প্রজন্মের আগমন ঘটতে চলেছে। এই নতুন প্রজন্মের নাম দেওয়া হয়েছে জেনারেশন বিটা (Generation Beta)। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্মানো শিশুরাই এই প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত। ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ জায়গা তাঁরা নেবে, এমনটাই ধারণা করছেন গবেষক মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল। এমনকি, এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো ২২তম শতাব্দীর আলো দেখতে পাবে।
জেনারেশন বিটা, জেনারেশন আলফার (২০১০-২০২৪) পরবর্তী প্রজন্ম। এর আগে ছিল জেনারেশন জেড (১৯৯৬-২০১০) এবং তারও আগে মিলেনিয়ালস (১৯৮১-১৯৯৬)। জেনারেশন আলফা থেকে শুরু হওয়া গ্রিক বর্ণমালার ধারাবাহিকতায় এই নতুন নামকরণ করা হয়েছে।
জেনারেশন বিটার ভবিষ্যৎ
জেনারেশন বিটার শিশুরা এমন এক যুগে বেড়ে উঠবে। যেখানে প্রযুক্তি মানুষের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে থাকবে। এক কথায় প্রযুক্তি ছাড়া কিছুই বুঝবে না তারা। এই প্রজন্মের জীবনে অটোমেটিক যানবাহন, উন্নত স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং ভার্চুয়াল অ্যাটমোসফিয়ার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে।
গবেষক মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল বলেছেন, 'যেখানে জেনারেশন আলফা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্মার্ট প্রযুক্তির উত্থান দেখেছে, জেনারেশন বিটা সেই প্রযুক্তিকে তাদের শিক্ষা, কর্মজীবন, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনোদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারবে।'
জেনারেশন বিটা-এর চ্যালেঞ্জ
প্রযুক্তির অগ্রগতি তাদের জীবনকে সহজ করবে ঠিকই, তবে তাদের সামনে থাকবে জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং বিশ্বজনসংখ্যার পরিবর্তনের মতো বড় বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রজন্মকে অভিযোজন, গুণমান এবং সহযোগিতার গুরুত্ব বুঝতে হবে। তাছাড়া, প্রযুক্তি উন্নয়নকে বাস্তবায়ন করার দায়িত্বও জেনারেশন বিটার ওপর বর্তাবে।
এর পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার মানুষের মধ্যে সামনাসামনি সংযোগ কমিয়ে দিচ্ছে। তাই এই প্রজন্মকে সত্যিকারের সম্পর্ক গড়ে তোলার পথ খুঁজে বের করতে হবে। গবেষকরা বলছেন, 'তাদের চাহিদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দগুলো বুঝে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারাই ভবিষ্যতের সমাজকে গড়ে তুলবে।'