২০২২ সালে আচমকাই স্ত্রী মীনাক্ষী চলে যান বাপের বাড়ি। কয়েক মাস পর কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ৪৯৮এ এবং ১২৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
সংগৃহীত ছবি
শেষ আপডেট: 14 June 2025 10:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বউয়ের করা পণের মামলা, তিন বছর ধরে আদালতে দৌড়ঝাঁপ, শেষমেশ প্রতিবাদের অভিনব পথ বেছে নিলেন রাজস্থানের কৃষ্ণ কুমার ধাকড়। বৌয়ের পাড়াতেই খুললেন চায়ের দোকান। নাম দিলেন ‘৪৯৮এ টি ক্যাফে।’ সেখানে হাতে হাতকড়া পরে চা বেচে চলেছেন তিনি।
সামনে স্টোভে ফুটছে চা, আর চারপাশে ব্যানার-পোস্টারে স্লোগান। কোথাও লেখা 'যতক্ষণ না মেলে ন্যায়, ততক্ষণ ফুটবে এই চা,' 'আবার কোথাও লেখা, 'আসুন চায়ে করি আলোচনা, ১২৫ ধারায় কত খরচ পড়ে বলো না?' যা স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ (পণ-নির্যাতনের ধারা) এবং ১২৫ (ভরণপোষণ সংক্রান্ত) ধারার অপব্যবহার হচ্ছে।
২০১৮ সালে বিয়ে করেন কৃষ্ণ ও মীনাক্ষী। দু’জনে মিলে মধু উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করেন, স্থানীয় মহিলাদের কাজের সুযোগ দিয়ে আলোচনাতে আসেন। এমনকি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান তাঁদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ২০২১ সালে তাঁদের কাজ উদ্বোধনও করেন তিনি।
তবে ২০২২ সালে আচমকাই স্ত্রী মীনাক্ষী চলে যান বাপের বাড়ি। কয়েক মাস পর কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ৪৯৮এ এবং ১২৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। কৃষ্ণর দাবি, 'মিথ্যে মামলায় সব শেষ হয়ে গেছে। বৃদ্ধা মা ছাড়া আমার কেউ নেই। টিনের চালের ঘরে থাকি। একাধিকবার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছি, কিন্তু মাকে মনে করে থেমে গিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই আইনি লড়াই লড়ব নিরপেক্ষভাবে চা বিক্রি করেই। আর সেখানেই যেখানে আমার বিরুদ্ধে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে।'
প্রতিবার প্রায় ২২০ কিমি দূরের নিমুচের আঠানা থেকে অন্তা আসেন শুনানির জন্য। বলেন, 'প্রতিবার শুনানির নামে শুধু তারিখ বদল হয়। বিচার কোথাও নেই। এই পরিস্থিতিতে আর কোনও ভরসা না পেয়ে চায়ের দোকান দিয়েই প্রতিবাদ শুরু করেছি।'