শেষ আপডেট: 31st October 2024 15:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘একটি গাছ, একটি প্রাণ।’ তবে সেই গাছই যদি মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে, তাহলে তার থেকে বড় অভিশাপ আর কীই বা হতে পারে! জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই গাছই প্রাণীকূলে সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
অস্ট্রেলিয়ার রেন ফরেস্টে রয়েছে এমনই এক ধরনের গাছ, যা নিমেষে কেড়ে নিতে পারে প্রাণ। গাছটির সংস্পর্শে এলে শরীরে শুরু হয় ভয়ানক যন্ত্রণা। তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একটা সময় পরে সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে, আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সেই ব্যক্তি। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন, সেই নির্দিষ্ট গাছেই লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যুর কারণ।
গাছটির নাম কী?
অস্ট্রেলিয়ার রেইন ফরেস্টে রয়েছে এই ভয়ংকর গাছ। নাম জিম্পি জিম্পি। কয়েক বছর আগে আবিষ্কার হওয়া এই গাছ আজও বিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণার বিষয়। অস্ট্রেলিয়ার মৌসুমী অরণ্য বা রেন ফরেস্টে থাকা গাছকে কেন্দ্র করে নানান সময় উঠে আসে বিভিন্ন সব ঘটনা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই গাছের পাতা একবার ছুঁলেই সেই ব্যক্তি উন্মাদ হয়ে যেতে পারে।
ইলেকট্রিক শকের অনুভূতি হয়
এই গাছের পাতা এতটাই বিষাক্ত যে শরীরের স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিক শক অনুভব হয়। গাছের পাতায় রয়েছে অসংখ্য কাঁটা। আর তার মাধ্যমেই শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে ভয়ানক বিষ। এর কোনও ওষুধ নেই। ফলে এই বিষের প্রভাব থাকতে পারে বছরের পর বছর। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বেছে নেওয়া হয় আত্মহত্যার পথ। বিজ্ঞানীদের ভাষায় এটিকে 'সুইসাইড ট্রি'ও বলা হয়।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার এক সেনাকর্মী এই গাছের পাতার সংস্পর্শে এসেছিলেন। শৌচকর্মের সময় ব্যবহার করেছিলেন জিম্পি জিম্পি গাছের পাতা। তারপরে দীর্ঘদিন তাঁকে যন্ত্রণায় হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে। অবশেষে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
দেখতে কেমন এই গাছের পাতা?
এই গাছের পাতাটি দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো। দূর থেকে পান পাতা মনে হলেও একটু কাছে গেলেই পাওয়া যাবে অসম্ভব দুর্গন্ধ। যা এই গাছের পাতাটির বৈশিষ্ট্য। পাতার উপর থাকে অজস্র সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাঁটা। এই গাছগুলির উচ্চতা প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত। আর চওড়ায় প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। অস্ট্রেলিয়ার জিম্পি শহরের নামানুসারে এই গাছের নামকরণ করা হয় জিম্পি জিম্পি।