Latest News

গায়ে পরা যায়, খাওয়াও যায়! বিশালাকার কেক-ড্রেস বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তুললেন তরুণী

দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন তরুণী, পরনে দুধ-সাদা বিয়ের গাউন। তারপরেই দেখা গেল ছুরি হাতে এগিয়ে আসছেন কয়েকজন। হবু কনের কাছে এসে ছুরি দিয়ে তাঁর পোশাক কেটে নিতে শুরু করলেন তাঁরা। কিন্তু পোশাক কই, এ যে কেক! রীতিমতো খাওয়াও যায়!

হ্যাঁ, গাউনের মত দেখতে হলেও আদতে তা একটি বিশালাকার কেক! হিসেব মতো, এই মুহূর্তে এটিই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পরিধানযোগ্য কেক-ড্রেস (World’s Largest Wearable Cake Dress) যা বানিয়ে গিনেস বুকে (Guinness Book) নাম তুলেছেন সুইজারল্যান্ডের বেকার নাতাশা কলিন কিম ফা লি ফকাস (Natasha Coline Kim Fah Lee Fokas)।

গত ১৫ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে কেক-ড্রেসটি প্রদর্শন করেন তিনি। সেটির ওজন ১৩১.১৫ কিলোগ্রাম, যা হুবহু সাদা বিয়ের গাউনের মতো দেখতে। এমনকী, নাতাশা সেটি পরেওছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কেক-ড্রেস পরা নাতাশার ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি কাঠের পাঠাতনের উপর দাঁড় করানো রয়েছে ড্রেসটির কোমর-থেকে পায়ের অংশটুকু। তার ভিতর থেকে হাসিমুখে বেরোতে দেখা যায় নাতাশাকে। ১৩০ কেজিরও বেশি ওজনের কেকটি গায়ে গলিয়ে হাঁটতেও দেখা যায় তাঁকে। কিছুক্ষণ পরেই সম্পূর্ণ জামাটি পরা অবস্থায় দেখা যায় তরুণী বেকারকে। কয়েকজন এসে সেই অবস্থাতেই কেকটি কাটতে শুরু করেন।

জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের থুনে ‘সুইটিকেকস’ নামে একটি বেকারি রয়েছে নাতাশার। সংস্থাটি ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজড কেক তৈরি করে দেয়। গিনেস বুকে নাম তোলার জন্যই পরিধানযোগ্য কেক-ড্রেসটি বানিয়েছিলেন নাতাশা। সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ারের ফ্যাশন শো-এর ফিনালেতে প্রদর্শন করা হয় অভিনব কেকটি।

প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন নাতাশার তৈরি কেকটির ভিডিও। স্বভাবতই কেক বানানোর ক্ষেত্রে নাতাশার প্রতিভা এবং সৃজনশীলতায় মুগ্ধ নেটিজেনরা। অনেকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না এটি সত্যিই একটি কেক। একজন লিখেছেন, ‘কেকটা কই? উনি ওটা পরে আছেন!’

‘দেখে খুশি হলাম যে উনি জামাটা গায়ে গলিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, অনেকে তো ওটা ওঠাতেই পারবে না,’ বিশালবপু কেক দেখে মন্তব্য অন্য একজনের।

জম্মু-কাশ্মীর কি জোশীমঠ হওয়ার পথে? ২০টি বাড়ি, একটি মসজিদে বড় ফাটল

You might also like