
আপনি চাইলেও এই শহরে বারোটা বাজাতে পারবেন না! ১১টার পর ঘড়ির কাঁটাই সরে না
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘড়ি ঘড়ির নিয়মেই চলে। সময় কি আর কারও জন্য থেমে থাকে? সে নদীর স্রোতের মতো কেবলই বয়ে যায়। কিন্তু এই পৃথিবীতেই রয়েছে এমন এক শহর (Solothurn), যেখানে ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না। ১১টাতেই শেষ সেই ঘড়ির সংখ্যা!

কথা হচ্ছে সুইৎজারল্যান্ডের (Switzerland) সোলোথার্ন শহরের (Solothurn)। এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোতভাবে। শহরের মিউজিয়াম, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে নির্বাচিত কাউন্সিলর পর্যন্ত সব কিছুই ১১। আর এই সোলোথার্ন শহরেই রয়েছে সেই আশ্চর্য ঘড়ি, যার কাঁটা থেমে যায় ১১টার দোরগোড়ায়। সেই ঘড়িতে বারোটা বাজে না কখনও।

সোলোথার্ন শহর (Solothurn) সুইৎজারল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ। প্রতিবছর অনেকেই এই শহরে ঘুরতে যান। পাহাড় নদী দিয়ে ছবির মতো সাজানো সেই শহরের কেন্দ্রে টাউন স্কোয়ারে যে বড় ঘড়িটি রয়েছে তাতে সংখ্যা রয়েছে ১১ পর্যন্ত। তাই সেই ঘড়িতে কখনও ১২টা বাজে না।

শহরের ইতিহাস (Solothurn)
আসলে ১১ সংখ্যাটির সঙ্গে সোলোথার্নের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, শহরটির প্রতিষ্ঠাতা ইলভ নামের এক জার্মান নাগরিক। তাঁকে স্থানীয়রা এতই ভালবেসে ফেলেছিলেন যে তাঁর নামের সঙ্গে মানানসই ইলেভেন সংখ্যাটিকে তাঁরা বেছে নেন, আর সেই থেকেই নাকি সোলোথার্ন সেজে ওঠে ১১ দিয়ে। এই শহরে ১১টি মিউজিয়াম, ১১টি ঝর্না, ১১টি গির্জা রয়েছে। আরও নানা নিদর্শনের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। সোলোথার্নের এগারোর সবচেয়ে বড় কেন্দ্রবিন্দু ওই বিশাল ঘড়িটি।
আরও পড়ুন: ঝাঁঝালো সর্ষের তেল নাকি অলিভ অয়েল, স্বাস্থ্যে-পুষ্টিতে কে এগিয়ে

সুইৎজারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহরগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবে। এই দেশের বেশিরভাগটা জুড়েই রয়েছে আল্পস পর্বত। বরফে ঢাকা মোহময়ী সুইৎজারল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গেলে জুরিখ, জেনেভা তো বটেই, একবার এই সোলোথার্ন থেকেও কিন্তু ঘুরে আসতেই হবে।