শেষ আপডেট: 25th March 2024 20:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সূর্যের প্লাজমায় গ্যাসের ঘনত্ব অনেক কম। তাই এর আলো জোরালো নয়। সূর্যের পিঠ থেকে যেমন গনগনে আগুনের মতো তেজ বের হয়, প্লাজমায় তেমনটা নয়। এই প্লাজমা স্তরের ভেতরেই থাকে করোনা। এই স্তর বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে। করোনা যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানেই জন্ম হয় যত সৌরঝড়ের। তাপমাত্রার ফারাকে এখানেও রঙের বদল হয়। বেশি তাপমাত্রায় গাঢ় নীলাভ করোনা, আবার কখনও বেগুনি, কমলা-সবজে আলোর খেলা। নাসা দেখিয়েছে, সূর্যের করোনা হঠাৎই রেগে গেছে। ঝলসে উঠেছে তার সবুজ রং। একাধিক জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম বা সৌরঝড়ের জন্ম হচ্ছে। সেই ঝড়ের ঝাপটা ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকেই।
সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্রে বিশাল পরিমাণ শক্তি রয়েছে। মাঝে মাঝে সেখানে বিকট বিস্ফোরণ হয় ঠিক পরমাণু বোমা ফাটার মতো। সেই শক্তি বেরিয়ে আসে যাকে বলে ‘করোনাল মাস ইঞ্জেকশন।’ চিন্তার মূল কারণ সেই। প্রচণ্ড গতির সৌরকণা ও সৌরঝড় পৃথিবীর উপর দিয়েও বয়ে যায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু বাধা দেয় পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র(ম্যাগনেটোস্ফিয়ার)। এটাই আমাদের গ্রহের সুরক্ষা কবচ।
ন্যাশনাল ওশিয়ানিক এন্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) জানিয়েছে, সৌরঝড় তেড়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এক নয় একাধিক জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম পৃথিবীকে আঘাত করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় সাড়ে ৯ কোটি মাইল দূরে সূর্য থেকে ছুটে এসে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে গনগনে সৌররশ্মিরা। কেঁপে উঠবে পৃথিবীর চারপাশে থাকা চৌম্বক ক্ষেত্র। দুই মেরুতে ঘনঘন উজ্জ্বল হয়ে উঠবে মেরুজ্যোতি।
সূর্যের পরিমণ্ডলে একটি ছিদ্র লক্ষ্য করা গেছে। সেই ফাটল পথেই প্রবল বেগে সৌরবায়ু ছিটকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে। রেডিও ও টেলি যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।