শেষ আপডেট: 10th January 2025 14:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাশিয়া, চিন ও জাপানের মতো দেশগুলো এখন তাদের জন্মহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। কেরেলিয়া অঞ্চলে ২৫ বছরের নিচে যে সব মহিলা সুস্থ সন্তান জন্ম দেবেন, তাদের ১,০০,০০০ রুবল (প্রায় ৮১,০০০ টাকা) পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। তবে, আবেদনকারীকে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হতে হবে এবং কেরেলিয়ার বাসিন্দা হতে হবে।
আইনে বলা হয়েছে, মৃত বা প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দিলে এই পুরস্কার দেওয়া হবে না। এছাড়া, যদি সন্তান আকস্মিক শিশুমৃত্যু সিনড্রোমে মারা যায়, তবে বোনাস বাতিল হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার জন্মহার এখন অনেকটাই নিচে, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে মাত্র ৫৯৯,৬০০ শিশু জন্ম নিয়েছে, যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ক্রেমলিনের মুখপাত্র ডিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, 'এটি প্রজন্মটির ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক।'
এই উদ্যোগ কেবল কেরেলিয়া নয়, রাশিয়ার আরও কয়েকটি অঞ্চলে নেওয়া হয়েছে। টমস্ক শহরে এমন একটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে এবং দেশের অন্তত ১১টি অঞ্চল এমন আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়া, ২০২৫ সালে, প্রথম সন্তানের জন্য ৬৭৭,০০০ রুবল (প্রায় ৬,১৫০ ডলার) এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ৮৯৪,০০০ রুবল (প্রায় ৮,১৩০ ডলার) সহায়তা পাওয়া যাবে।
রাশিয়ার জনসংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ হিসেবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। প্রথমত, উচ্চ প্রাপ্তবয়স্ক মৃত্যুহার, যা একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং জীবনযাত্রার মানের অবনতির কারণে মৃত্যুহারের হার বেড়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, ব্যাপক অভিবাসন, যেখানে অনেক রাশিয়ান নাগরিক দেশ ত্যাগ করে বিদেশে চলে যাচ্ছেন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে।
তৃতীয়ত, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ঘটে যাওয়া প্রাণহানি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈন্যদের মৃত্যু, যা রাশিয়ার জনসংখ্যা সংকটকে আরও তীব্র করেছে। এই সব সমস্যার সম্মিলিত প্রভাবে রাশিয়ার জনসংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে, যা দেশটির ভবিষ্যৎ জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।