শেষ আপডেট: 6th November 2023 15:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলের আগ্নেয় শিলার খোঁজ পৃথিবীতে?
কী করে সম্ভব?
মঙ্গলে নাকি গর্জে উঠছে সৌরজগতের সবচেয়ে উঁচু ও ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনস। আগ্নেয়গিরি থেকে ছিটকে বেরনো লাভা, পাথর ছড়িয়ে পড়ছে মহাকাশে। মঙ্গলের লাভা, আগ্নেয় পাথর পৃথিবীতে বয়ে আনছে ধূমকেতু। গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. বেন কোহেন বলছেন, পৃথিবীতে মঙ্গলের পাথরের টুকরো পাওয়া গেছে। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে সেই পাথরের টুকরো রাখা হয়েছে।
ড. কোহেন বলছেন, মঙ্গলের মাটির গঠন, চরিত্র, আবহাওয়ার প্রকৃতি, বাতাসে মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব, বায়ুমণ্ডলে অ-তরিদাহত কণার গবেষণা করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। মঙ্গলে যেসব মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে তাদের হাই রেজোলিউশনে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, মঙ্গলে দিন-রাত আছে, ঋতু পরিবর্তন আছে, আছে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু, খুব উঁচু পাহাড় আছে, বিরাট আগ্নেয়গিরি আছে, বিশাল নদীখাতও আছে, যা একদা সেখানে জল থাকার প্রমাণ দেয়।
মঙ্গলের মাটিতেই আছে সুবিশাল আগ্নেয়গিরি যা আকারে-আয়তনে তিনটি এভারেস্টের সমান। মঙ্গলের সেই পর্বতের নাম অলিম্পাস মনস। তবে এটি কোনও সাধারণ পর্বত নয়। এটি একটি আগ্নেয়গিরি। পাহাড়ের মতো শৃঙ্গ নেই অলিম্পাসে। আছে অগ্ন্যুৎপাতের জ্বালামুখ। সৌরজগতের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি এই অলিম্পাস। একসময় নাকি এর চারদিকে জল ছিল। তেমন প্রমাণও নাকি পাওয়া গেছে। অলিম্পাসের উচ্চতা প্রায় ২১.৯ কিলোমিটার। মহাকাশ থেকে অলিম্পাসকে লাল আভায় ছেয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আগ্নেয়গিরিকে কেন্দ্র করে যার বিস্তৃতি হাজার হাজার কিলোমিটার।
ডা. কোহেনের দাবি, এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাত হয়। লাভা-ছাই ছড়িয়ে পড়ে। আগ্নেয়শিলা ছিটকে বেরিয়ে মহাজাগতিক রশ্মির সঙ্গে মিলে ধূমকেতুর চেহারা নেয়। এই ধূমকেতু মঙ্গলের মাটি থেকে শিলা-পাথর বয়ে এনেছে পৃথিবীতে।
শোনা যায়, কয়েকশো কোটি বছর আগে অলিম্পাসকে কেন্দ্র করে মঙ্গলের মাটিতে তুমুল আলোড়ন হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ ফেটে এমন লাভাস্রোত বের হয় যা মাটির ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল। অলিম্পাসের মাটির নীচের অংশে বরফের স্তর ছিল। জ্বলন্ত লাভাস্রোত সেই বরফ গলিয়ে দেয়। ফলে সাঙ্ঘাতিক ভূমিধস হয় মঙ্গলে। মাটির গঠন বৈচিত্র্য অনেক বদলে যায়। মঙ্গল থেকে পাওয়া শিলাখণ্ড বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন, কোটি কোটি বছর আগে ঠিক কী কী হয়েছিল। এই উত্তর পেলেই মঙ্গলের রহস্যময় পরিমণ্ডল ভালভাবে বোঝা যাবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।