শেষ আপডেট: 6th December 2024 20:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু..। বিশ্বাসে ভর করেই মন্দিরের দরজায় পৌঁছয় মানুষ। ফল পেলে ভগবানকে উপহারও দেন। দেশের এমন একাধিক মন্দির রয়েছে, যেখানে কোটি কোটির টাকার সামগ্রী দান হিসেবে দিয়েছে ভক্তরা। অনুদানও নজরকাড়া। তবে, একবারে ১ কেজি সোনার বিস্কুট দান বোধহয় বিরল।
রাজস্থানের চিতোরগড় জেলার সানওয়ালিয়া শেঠ মন্দির। এই কৃষ্ণ মন্দির বর্তমানে চর্চায় কারণ সম্প্রতি এর মন্দির কোষাগার খোলে কর্তৃপক্ষ। তারপরই সেখান থেকে পাওয়া যায় এক কেজির সোনার বিস্কুট, রুপোর পিস্তল, রুপোর হাতকড়া এবং ২৩ কোটিরও বেশি নগদ টাকা।
মন্দিরের কোষাগার খোলার পর প্রথম পর্যায়ে ১১.৩৪ কোটি নগদ টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩.৬০ কোটি নগদ টাকা ও তৃতীয় পর্যায়ে ৪.২৭ কোটি নগদ টাকা পাওয়া যায়। টাকা গোনা চলছে। এপর্যন্ত ১৯.২২ কোটি নগদ টাকা পেয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে ২৩ কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে।
কত পরিমাণ সোনা, রুপো ও অন্যান্য ধাতুর গয়না রয়েছে, তাও গুনে দেখা হচ্ছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতি মাসের আমাবস্যায় এই কোষাগার খোলা হয় এবং দানের পরিমাণ দেখা হয়। এমাসেও তাই হয়। মনে করা হচ্ছে, গোটা দানের পরিমাণ গোনা শেষ করতে আরও ৬-৭ পর্ব লাগবে।
সানওয়ালিয়া শেঠ মন্দিরটি চিতোরগড়-উদয়পুর সড়কে, চিতোরগড় থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ১৮৪০ সালে দুধ ব্যবসায়ী ভোলারাম গুর্জর স্বপ্নে দেখেন ওই এলাকায় তিনটি মূর্তি রয়েছে মাটির তলায়। তিনি সেই মূর্তি তুলে স্থাপন করেন, তৈরি হয় এই মন্দির। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মীরাবাই এই মন্দিরে পূজার্চনা করতেন একসময়।