শেষ আপডেট: 9th February 2025 13:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার শেষ হচ্ছে কলকাতা বইমেলা। ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এবারের বইমেলায় শনিবার পর্যন্ত অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে। রবিবার শেষ দিনেও প্রকাশিত হবে একাধিক বই।
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বহু স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও সাংবাদিকতা পড়ানো শুরু হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে সিলেবাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে লেখা বাংলা বই পর্যাপ্ত নয়। নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সেই কাজটি বিগত বহু বছর ধরে করে আসছে। শনিবার বইমেলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজের তরফে প্রকাশিত হয়েছে নতুন বই উন্নয়ন সাংবাদিকতা।
লেখক দুই অধ্যাপক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য ও অরিজিৎ ঘোষ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর একটি প্রকাশিত বই রোদনি বিষহরি মনসা। লেখক শক্তিনাথ ঝা। শনিবার বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে লেখকেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর ও সাংবাদিক মধুমিতা দত্ত। বইমেলার নয় নম্বর গেটের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮০ নম্বর স্টলে মিলবে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিষয়ে এমএ পাঠ্যক্রমের আরও অনেক বাংলায় লেখা বই।
বইমেলাতেই প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দাসের 'পলিটিক্যাল পডকাস্ট’ এবং ‘থোড় বড়ি খাড়া’ ড. দাসের কথায়, প্রথম বইটি দেশ ও দশের রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের বাউন্সার সামলানো জবাব। দ্বিতীয় বইটি প্রবন্ধ সংকলন। তাতে আছে সেই সব মানুষের কথা যাঁদের সমাজ তেমন একটা মনে রাখেনি। তাঁদেরই একজন শ্যামমোহিনী দেবী। শিক্ষা বিস্তারে যাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বইমেলার এক নম্বর গেটের কাছে ১১৬ নম্বর স্টলে অধ্যাপক দাসের বই দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা ও সাংবাদিক কুনাল ঘোষ।
দেশভাগের ৭৮ বছর পরও এই সংক্রান্ত বইয়ের চাহিদা কমেনি। নেকটার পাবলিকেশন প্রকাশ করেছে ‘পূর্ববঙ্গের হিন্দু স্মৃতি’। বইটির সম্পাদনা করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক অশোক সেনগুপ্ত। পাওয়া যাবে ৫৫৯ নম্বর স্টলে। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক গৌতম ব্রহ্মের বই ‘কবিরাজ কথা’।