গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) মৃত্যু হয়েছে বাবা হেমন্ত জোশির। এখনও সেই ক্ষত টাটকা। তাই এত ভাল ফল করলেও সাফল্য উদযাপন করছে না পরিবার।
ছবি- গুগল
শেষ আপডেট: 15 May 2025 19:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ধ্রুব জোশি। এই খুশির মুহূর্তেও পরিবারে বিষাদের ছায়া। গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) মৃত্যু হয়েছে বাবা হেমন্ত জোশির। এখনও সেই ক্ষত টাটকা। তাই এত ভাল ফল করলেও সাফল্য উদযাপন করছে না পরিবার।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ডোম্বিভালির ওংকার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পড়ুয়া ধ্রুব জোশি। পরীক্ষার পর ছুটি কাটাতে পরিবারের সঙ্গে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিল বছর ষোলোর ধ্রুব। আনন্দের মুহূর্তগুলো এক লহমায় বিষণ্ণতায় ঢেকে যাবে, কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।
২২ এপ্রিল পহেলগামে বৈসরন ভ্যালিতে পর্যটকদের ওপর হামলা করা হয়। জঙ্গিদের গুলিতে যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের মধ্যেই একজন হেমন্ত জোশি। প্রসঙ্গত, বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, অনেক দূর থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে কয়েকজন মুখোশধারী জঙ্গি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সকলকে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলে। এরপরই পর্যটকদের কলমা পরতে বলা হয়, না পারলেই মাথায়, বুকে গুলি করা হয়।
ধ্রুব মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। গত ১৩ মে সিবিএসই (CBSE) দশম শ্রেণির ফল প্রকাশ হয়েছে। ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুল ও পরিবারের নাম উজ্জ্বল করেছে। তবে সুখবরের পরও সেলিব্রেশন করতে চায়নি সে। জোশি পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, "বাবার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি ধ্রুব। তার মা-ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কথা ছিল, ফল প্রকাশের পর একসঙ্গে মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। কিন্তু তা আর হল না। সাফল্যের সময়ে বাবা নেই, এটাই বড় আক্ষেপ ধ্রুবর।"
উল্লেখ্য, পহেলগামে (Pahalgam) নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা সমীর গুহ, একজন কেন্দ্রীয় সরকারের জুনিয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীর গিয়েছিলেন তিনি। সমীরের মেয়ে শুভাঙ্গী চলতি বছরের আইসিএসই (ICSE) দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী ছিলেন। রেজাল্টের আগে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ২২ তারিখ জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় সমীর গুহর। আগামী দিনে বাবার স্বপ্নপূরণ করাই একমাত্র লক্ষ্য শুভাঙ্গীর।
পহেলগামে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কমপক্ষে ৩০ মিনিট গুলি চলেছে। বৈসরন ভ্যালিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে জঙ্গিরা। কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী কর্মীদের দেখা যায়নি।