কর্নাটকের শ্রীরঙ্গপত্নে কাবেরী নদী থেকে একটি দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সুবান্না আয়াপ্পানের দেহ শনাক্ত করা হয়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
গ্রাফিক্স- দ্য ওয়াল
শেষ আপডেট: 14 May 2025 11:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী সুবান্না আয়াপ্পান (Subbanna Ayyappan)। শনিবার কর্নাটকের শ্রীরঙ্গপত্নে কাবেরী নদী থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার কাবেরী নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। তাঁরাই থানায় খবর দেয়। ওইদিন দেহের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। রবিবার জানা যায়, মৃতদেহটি আইসিএআর-এর ( Indian Council of Agricultural Research) প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল সুবান্না আয়াপ্পানের। নদীর পাড় থেকে তাঁর স্কুটারও পাওয়া গিয়েছে।
মাইসোরে স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন সুবান্না আয়াপ্পান। গত ৭ তারিখ বাড়ি থেকে বেরনোর পরই নিখোঁজ হন। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছায় বাড়িতে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে শ্রীরঙ্গপত্ন পুলিশ তদন্ত চালিয়ে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আয়াপ্পান মাঝেমধ্যেই কাবেরী নদীর কাছে ওই আশ্রমে ধ্যান করতে যেতেন। গত বুধবারও বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন কি না খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
ভারতের ব্লু রেভোলিউশনের (নীল বিপ্লব) প্রধান কারিগর হিসেবে ড: আয়াপ্পানের (Subbanna Ayyappan) ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তিনি মাছ চাষের নতুন এবং উন্নত উপায় তৈরি করেছিলেন যা সমগ্র ভারতের মাছ চাষের পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছিল। তিনি গ্রামীণ জীবিকাকে উন্নত করে তুলেছিলেন। তাঁর এই সুদূরপ্রসারী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০২২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয় সুবান্না আয়াপ্পানকে।
১৯৫৫ সালের ১০ ডিসেম্বর কর্নাটকের (Karnataka) চমরাজানগর জেলার ইয়েলন্দুরে জন্ম ড: আয়াপ্পানের। ১৯৭৫ সালে মৎস্য বিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৭৭ সালে স্নাতকোত্তর (MFSc) ডিগ্রি অর্জন করে কর্মজীবনে পা রাখেন। ১৯৯৮ সালে বেঙ্গালুরুর কৃষিবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করার পর মাছ চাষ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছিলেন।
তিনি ভুবনেশ্বরের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্রেশওয়াটার অ্যাকোয়াকালচার (CIFA) এবং মুম্বাইয়ের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ এডুকেশন (CIFE) এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও হায়দ্রাবাদে জাতীয় মৎস্য উন্নয়ন বোর্ড (NFDB) এর প্রতিষ্ঠাতা-সহ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন। পরে ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা বিভাগে (DARE) সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরবর্তী বছরগুলিতে, তিনি জাতীয় পরীক্ষা ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ (NABL) এর সভাপতিত্ব করেছেন। ইম্ফলে কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (CAU) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।