
Pacific Ocean: গুগল ম্যাপে বারবার কেন উধাও হয়ে যায় এই দ্বীপ! প্রশান্ত মহাসাগরে জমাট রহস্য
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অস্ট্রেলিয়ার পূবদিকে উত্তাল প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)। সেই সুগভীর জলরাশির মাঝেই এক অদ্ভুত রহস্য মাঝে মাঝে মাথা চারা দিয়ে ওঠে। সমুদ্রের সেই রোমাঞ্চে বারবার শিহরিত হন বিজ্ঞানীরা, তবে খুঁজে পান না কোনও উত্তর।

অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে নিউ ক্যালেডোনিয়া নামের ছোট্ট একটা দ্বীপ (Mysterious Island) রয়েছে। লোকে বলে স্যান্ডি আইল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখন্ড আর এই স্যান্ডি আইল্যান্ডের মাঝেই জমাট রহস্য। শোনা যায়, এই অঞ্চলের সমুদ্রের (Pacific Ocean) মাঝেই রয়েছে আরও একটি ছোট্ট দ্বীপ। কিন্তু সেই দ্বীপের অস্তিত্ব নিয়েই নিশ্চিত নন কেউ। কারণ মাঝেমধ্যে নাকি সেই দ্বীপটি দেখা যায়, আবার মাঝেমধ্যেই নাকি সেটি উধাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সাগরে গভীর নিম্নচাপ, আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘অশনি’! দক্ষিণবঙ্গে তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

গুগল ম্যাপেও মাঝে মাঝে দ্বীপটি আসে, আবার কখনও দেখাই যায় না একে। বহু বছর ধরেই মানচিত্রপ্রস্তুতকারীদের মধ্যে এই বিশেষ দ্বীপটির অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই কোনও মানচিত্রে এটি থাকে কোথাও আবার থাকেই না।

ইতিহাস কী বলছে (Pacific Ocean)
১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুকের ‘চার্ট অফ ডিসকভারিজ ইন দ্য সাউথ প্যাসিফিক ওসান’-এ এই দ্বীপটির কথা প্রথম উল্লেখ করা হয়েছিল। এর ঠিক এক বছর পর ১৮৭৬ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের ওই অঞ্চলে তিমি শিকারের (Pacific Ocean) জন্য পাড়ি দেয় ‘ভেলোসিটি’ নামের একটি জাহাজ। সেই জাহাজের লোকজনও স্যান্ডি আইল্যান্ডের আগে ওই দ্বীপটিকে দেখেছিলেন বলে দাবি। উনিশ শতকে ইংল্যান্ড এবং জার্মানিতে তৈরি সমস্ত মানচিত্রেই দ্বীপটির উল্লেখ ছিল। ১৮৯৫ সালে আরও একবার দ্বীপটিকে দেখা যায় একই জায়গায়। ভৌগোলিকদের অনুমান ছিল ওই দ্বীপটি ২৪ কিলোমিটার লম্বা এবং ৫ কিলোমিটার চওড়া।

তবে এরপরেই গোল বাঁধে। এর মাঝে অনেক অভিযাত্রী ওই এলাকায় গিয়ে দাবি করেন সেখানে তেমন কোনও দ্বীপ নেই। ফ্রেঞ্চ হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিস ১৯৭৯ সালে দ্বীপটিকে মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বয়স চল্লিশ ছুঁতে চলেছে? সত্যিই কি ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন?
২০১২ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা দল বেঁধে পাড়ি দেন স্যান্ডি আইল্যান্ডের উদ্দেশে। তাঁরা নির্দিষ্ট পথ ধরেই গিয়েছিলেন, কিন্তু ওই পথে শুধু সমুদ্রের জল ছাড়া আর কোনওকিছুই দেখতে পাননি। ওই এলাকায় সমুদ্রের গভীরতাও মেপে দেখেন তাঁরা। ৪ হাজার ৩০০ ফুট গভীর সেই সমুদ্রে কোনও দ্বীপ ডুবে গেছে এমন সম্ভাবনাও পাওয়া যায়নি। এর ঠিক চার দিন পর গুগল ম্যাপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দ্বীপটিকে।
অস্ট্রেলিয়ার পূবে এমন রহস্যময় ভূখন্ড নিয়ে বিজ্ঞানীরা বেশ বিভ্রান্ত। তাঁদের কাছে কোনও উত্তর নেই যে কেন ওই এলাকায় কখনও আস্ত একটা দ্বীপ দেখা দেয়, আবার কখনও তা হারিয়ে যায়।