ছবি-গুগল
শেষ আপডেট: 8 May 2025 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'অপারেশন সিঁদুর'-এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর সামনে এল উপগ্রহ চিত্র। ভারতের প্রত্যাঘাতে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি (Operation Sindoor)। হাই রেজোলিউশনের উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট বিস্ফোরণের ছাপ।
ম্যাক্সার টেকনোলজিস নামের এক সংস্থা এই উপগ্রহচিত্রগুলি (Satellite Pics) প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানের আগে ও পরবর্তী দৃশ্য উঠে এসেছে। বাহাওয়ালপুরের কাছে মারকাজ সুবান আল্লাহ কম্পাউন্ড এবং মুরিদকে-র নাঙ্গাল সাধনের মারকাজ তাইয়বা কমপ্লেক্স- এই দুটিই জইশ-এ-মোহাম্মদ (JeM) এবং লস্কর-ই-তইবারের (LeT) লজিস্টিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ভূ-গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন জানিয়েছেন, 'বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে হামলার পরে যে উপগ্রহ চিত্র মিলেছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অত্যন্ত নিখুঁতভাবে চালানো হয়েছে হামলাগুলি। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের বাইরে আশপাশে যাতে আর কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের (Pahalgam Terror Attack) উপর চালানো বর্বর হামলার প্রত্যুত্তর বলেই ধরা হচ্ছে এই অভিযানটিকে। সেদিনের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ২৬ জন নাগরিক, যাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এই হামলার পিছনে ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার (LeT) শাখা সংগঠনের হাত।
ভারতের লক্ষ্যস্থল ছিল সুনির্দিষ্ট ৯টি জায়গা। তার প্রতিটিই আগে একাধিক সন্ত্রাসী পরিকল্পনা ও অনুপ্রবেশ চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে কৌশলগত মূল্যায়নের মাধ্যমে বাছাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে অন্যতম বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে।
বাহাওয়ালপুর: জইশ-ই-মহম্মদের সদরঘাঁটি
পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে অবস্থিত বাহাওয়ালপুর জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন এই জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার মতো বহু ভয়াবহ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বাহাওয়ালপুরে জইশের ঘাঁটি ছিল বহুদিন ধরেই।
মুরিদকে: লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র
লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিমি উত্তরে অবস্থিত মুরিদকে হল লস্কর-ই-তইবা ও তার সমাজসেবামূলক মোড়কের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার মূল কেন্দ্র। ২০০ একরেরও বেশি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ঘাঁটিতে রয়েছে প্রশিক্ষণ এলাকা, মগজধোলাই ও ধর্মীয় কট্টরবাদ প্রচারের কেন্দ্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংরক্ষণ ব্যবস্থা। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার জঙ্গিরাও এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।