শেষ আপডেট: 23rd January 2025 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহাকুম্ভ আয়োজিত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেখানকার একাধিক ছবি-রিল সামনে এসেছে। ভাইরালও হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাগা সাধু ও অঘোরি বাবাদের দেখা গিয়েছে কুম্ভে নানা রূপে। অনেকেই মনে করছেন, নাগা সাধু ও অঘোরি বাবা একই। আসলে এই দুই নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। বিশেষ করে এই দুই ধরনের সাধুর বেশভূষা প্রায় এক হওয়ায় অনেকেই এক ভেবে ভুল করেন। আসলে নাগা সাধু এবং অঘোরি বাবা একেবারেই আলাদা, জীবনযাপন এবং তপস্যার নিয়মও একেবারেই আলাদা।
কী পার্থক্য রয়েছে নাগা সাধু ও অঘোরি বাবার মধ্যে?
হিন্দু ধর্মে এই দুইয়েরই উল্লেখ রয়েছে। নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য ১২ বছর কঠিন তপস্যা করতে হয়। তাঁরা আখড়ায় গুরুর সেবা করেন এবং আখড়ায় কঠিন পরীক্ষা দিয়ে জ্ঞান লাভ করেন। নাগা সাধুরা নিরামিষ খাবার খান এবং শরীরে চিতাভস্ম মাখার রীতি রয়েছে। তাঁরা সাধারণত নগ্ন অবস্থায় থাকেন এবং শিবের পুজো করেন।
অন্যদিকে, অঘোরি বাবাদের তপস্যার পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। তাঁরা বছরের পর বছর শ্মশানে বসে মৃতদেহের কাছে তপস্যা করেন। অঘোরি বাবাদের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল তাঁরা আমিষ খাবার খান, মাংস খান। অঘোরিরা গলায় খুলির মালা পরেন এবং শরীরের নীচের অংশ প্রাণীর চামড়া বা কাপড় দিয়ে ঢাকা রাখেন। অঘোরি বাবাদের জন্য গুরুর সেবা করা বাধ্যতামূলক নয় এবং পুজোর পদ্ধতিও অনেকটা আলাদা।
কোথায় মিল রয়েছে নাগা সাধু ও অঘোরির?
নাগা সাধু ও অঘোরি বাবাদের মধ্যে মিল উপাস্য দেবতায়। দুই ক্ষেত্রেই শিবের পুজো করে থাকেন এবং গায়ে ভস্ম মেখে থাকেন। তবে, বাকি সবটাই আলাদা। জীবনযাপন, তপস্যার পদ্ধতি, খাদ্যাভ্যাস এবং আধ্যাত্মিক অভ্যাস পুরোটাই আলাদা।
ফলে নাগা সাধু এবং অঘোরি বাবাদের দেখে এক মনে হলেও তাঁদের মধ্যে পার্থক্য একাধিক।