দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাম্প্রতিক এক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার জায়গা তৈরি করেছে। এক ব্যক্তি অফিসে তাঁর ম্যানেজারের যুক্তিহীন অনুরোধে এমন জবাব দিলেন, যা শুনে নেটিজেনরা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন।

দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির দিনে অফিসে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ম্যানেজার। উত্তরে ওই কর্মী যা বললেন, তা একদিকে যেমন স্পষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত, তেমনি ঠান্ডা মাথায় প্রতিবাদেরও উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন এক রেডিট ব্যবহারকারী। তিনি জানান, তাঁর এক জুনিয়র সহকর্মী, প্রবল বৃষ্টির কারণে অফিসে আসতে না পেরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতির আবেদন করেন। কিন্তু ম্যানেজার সেই অনুরোধ না মেনে জানিয়ে দেন, ‘যেভাবেই হোক, অফিসে আসতেই হবে।’ ম্যানেজার আবার পরামর্শ দেন, তিনি যেন অ্যাপ থেকে গাড়ি বুক করে বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও চেষ্টা করেন আসার।

উত্তরে ওই কর্মী যা বললেন, তা শুনে ম্যানেজার একেবারে চুপ। তিনি বলেন, ‘আমি হিসেব করে দেখেছি- আজকের যাতায়াতে যা ভাড়া লাগবে সেটা আমার এক দিনের বেতনের চেয়েও বেশি, কাজেই আমি আসছি না।’
এই সংক্ষিপ্ত ও যুক্তিপূর্ণ জবাবে যেমন ছিল প্রতিরোধ, তেমনই ছিল বাস্তবতার প্রতিফলন।

যিনি রেডিটে পোস্টটি করেছিলেন, ‘আমার সহকর্মী এমন জবাব দিয়েছে, ম্যানেজার থতমত খেয়ে গেছেন। শেষে ম্যানেজারও হাল ছেড়ে দিয়ে তাঁকে বলেন, তোমার আসার দরকার নেই, আগামীকাল মিটিং আছে। তখন এসো।’

এই পোস্টে ইতিমধ্যেই প্রচুর লাইক পড়েছে এবং অসংখ্য লোকে কমেন্টও করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘আমি নিজেও ম্যানেজার, কিন্তু এই ছেলেটার উত্তর শুনে আমি ওর ফ্যান হয়ে গেছি। প্রত্যাশা দু’পক্ষ থেকেই স্পষ্ট হওয়া দরকার।’ আরেকজন যুক্তি দেন, ‘উনি যা বলেছেন, একদমই ভুল বলেননি। পুরোপুরি সমর্থন করি।’

একজন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লেখেন, ‘আমি যখন সিক লিভে ছিলাম, আমার ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তুমি আজ অসুস্থ কেন?’ আমি চুপ করে ছিলাম, কিছু বলিনি। অন্তত ও জবাব দিয়েছে।’

সব মিলিয়ে, এই ঘটনার সবচেয়ে মজার দিক ছিল ওই ব্যক্তির অঙ্কের মতো যুক্তি- ‘যখন একদিনের ভাড়া, একদিনের বেতনের থেকে বেশি, তখন সিদ্ধান্ত একটাই- ঘরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।’