Latest News

বার্গার খেয়ে টাকা মেটাতে গিয়ে ভুল করে ৬৬ হাজার টাকা দিয়ে ফেললেন যুবক, তারপর…

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বার্গার (Burger) খেতে কে না ভালবাসেন? গোল পাউরুটির মাঝে মাংসের পুরু প্যাটি, চিজের স্তর, লেটুস-টমেটোর আস্তরণ। সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থাকলে তো সোনায় সোহাগা। সুস্বাদু এবং পেট ভরায় তো বটেই, সঙ্গে পকেট ফ্রেন্ডলিও বটে এই ফাস্ট ফুডটি। কিন্তু একটা মাত্র বার্গারের জন্য ৬৬ হাজার টাকা পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে, এমনটা কি কেউ ভাবতে পারেন (Rs 66000 for a burger) সম্প্রতি তেমনটাই হয়েছে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা টবি উইলসনের সঙ্গে।

দিনকয়েক আগে বন্ধুদের সঙ্গে নিউ ইয়র্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন টবি। রাত তখন ১১টা হবে, খিদে পাওয়ায় রাস্তায় একটি ফুড ট্রাক দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন টবি। মাঝারি দামের একটি ভেজিটেবল বার্গার অর্ডার করেন তিনি। তখনও তিনি বোঝেননি, এই খাবারই তাঁর জীবনের সবচেয়ে দামি খাবার হতে চলেছে।

খাবার কিনে খেয়ে বাড়িও চলে আসেন টবি। তারপর তো বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। ইতিমধ্যেই ঘোরাঘুরির পালা শেষ, নিউ ইয়র্ক থেকে ম্যানচেস্টারে ফেরত চলে এসেছেন তিনি। তারপর একদিন ব্যাঙ্ক ডিটেলস চেক করতে গিয়ে তাঁর মাথায় হাত! অ্যাকাউন্ট থেকে রাতারাতি গায়েব হয়ে গেছে ৬৬৬.৫০ পাউন্ড, ভারতীয় মূল্যে যা ৬৬ হাজার টাকার থেকেও সামান্য বেশি।

বিস্তর খোঁজ খবরের পর দেখা যায়, বার্গার খেয়ে দাম মেটানোর সময় ভুলবশত ওই ফুড ট্রাকেই এই বিপুল টাকা দিয়ে ফেলেছেন তিনি। টবি জানিয়েছেন, তিনি মদ্যপান করেন না। ফলে মত্ত অবস্থায় যে এমন কাজ করে ফেলেছেন তা নয়। ভুল করেই হয়েছে পুরো ব্যাপারটা। সঙ্গে সঙ্গে নিউ ইয়র্কের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁদের তরফে যোগাযোগ করা হয় ওই ফুড ট্রাক সংস্থার সঙ্গে।

এরপর সংস্থাটির এইচআর ম্যানেজার আহমেদ আব্দুল্লাহ টবিকে বলেন তাঁর ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলতে। সেই মতোই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন টবি। ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়, বিষয়টি মিটমাট করে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আগে ফুড ট্রাক সংস্থার তরফে স্বীকার করতে হবে যে সত্যি ভুলবশত তাঁদের কাছে অতিরিক্ত টাকা পাঠিয়ে ফেলেছেন টবি।

টবি জানিয়েছেন, এক মাস কেটে গেছে, ব্যাঙ্কের তরফে ঢিলেমির জন্য এখনও টাকা ফেরত পাননি তিনি। ‘প্রাথমিকভাবে এটাতে আমি মজা পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ব্যাঙ্কের তরফে বলা হবে যে একটা ভুল হয়ে গেছে, এবং কিছুদিনের মিধ্যেই বিষয়টা মিটে যাবে। কিন্তু দেখছি, ব্যাঙ্ক খুবই ধীরগতিতে কাজ করছে,’ জানিয়েছেন টবি। এখন পুরো বিষয়টা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তায় রয়েছেন তিনি। ছোট্ট ভুলের জন্য যে এত বড় খেসারত দিতে হবে, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। কবে সত্যিই সমস্ত জটিলতা শেষ হয়ে টাকা ফেরত পাবেন, সেই আশাতেই এখন দিন গুনছেন টবি।

চিড়িয়াখানার জন্য ছাগল আনা হয়েছিল, কেটে খেয়ে পার্টি করলেন খোদ ডিরেক্টর

You might also like