প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 5 May 2025 20:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘জীবন চলছে না আর সোজা পথে…’ তারওপর কাজের চাপ বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। মন ভারী হয়ে আছে, কান্না পাচ্ছে। কিন্তু আপনি তো সিঙ্গল। কার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদবেন? কে-ই বা মুছিয়ে দেবে আপনার চোখের জল? কিন্তু যদি এমন হয়, আপনি কাঁদছেন আর এক সুপুরুষ আপনার পাশে বসে মুছিয়ে দিচ্ছেন চোখের জল, বাড়িয়ে দিচ্ছেন কাঁধ?
জাপানের গল্পটা কিন্তু এমনই। ইমোশনাল লাগছে খুব, আপনাকে একা থাকতে হবে না। সেখানে একটি সার্ভিসের প্রচলন আছে, নাম ‘ইকেমেসো দানসি’।
কী এই ‘ইকেমেসো দানসি’?
আমাদের এখানে যেমন কোনও অ্যাপের মাধ্যমে লোক ডেকে কোনও কাজের জন্য লোক ডেকে নেওয়া যায় বাড়িতে, তেমনই এই ‘ইকেমেসো দানসি’ সার্ভিসের মাধ্যমে মহিলারা পেতে পারেন সুন্দর এক পুরুষের সান্নিধ্য। তিনি সেই মহিলার সঙ্গে বসে দুঃখের সিনেমা দেখবেন, কাঁদলে আলতো করে মুছিয়ে দেবেন চোখের জল।
‘রুই-কাটসু’ নামের এক নীতি রয়েছে জাপানে। যার বাংলা অনুবাদ কিছুটা এরকম, ‘চোখের জলের দাম’। আসলে জাপানিরা বিশ্বাস করেন মনের অভিব্যক্তি চেপে না রেখে প্রকাশ করা উচিত। আর যে অনুভূতিই হোক না কেন, তা খোলাখুলি প্রকাশ করতে পারার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
কীভাবে কাজ করে ‘ইকেমেসো দানসি’?
অনলাইন ক্যাটালগ দেখে বেছে নেওয়া যায় সঙ্গী মনের মতো। প্রত্যেকেই ভীষণ প্রফেশনাল। আলতো হাতে চোখ মুছিয়ে দেবে সে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে চাইলে সেখানেও সে হবে সঙ্গী। দুঃখের সিনেমা দেখা তো আছেই।
অনেক পুরুষ পেশাগতভাবে অন্য কোনও কাজে যুক্ত থাকলেও পার্টটাইম কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই সার্ভিস।