স্কুলের পোশাকে গোপাল (ছবি- গুগুল)
শেষ আপডেট: 27th March 2025 17:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সর্বশিক্ষা অভিযানের কথা মনে আছে? সবাই পড়বে। শিক্ষিত হবে। উন্নত হবে দেশ! হ্যাঁ সেই অভিযানের ফলে বহু ছেলে-মেয়ে স্কুলমুখী হয়েছিল। প্রতিটা ক্লাসে বেড়েছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। 'স্কুল চালে হাম' বিজ্ঞাপনটি গেঁথে গিয়েছিল সে প্রজন্মের ছেলেপুলের মাথায়। তাই হয়তো এবার লাড্ডু গোপালকেও স্কুলে পাঠালেন এক মহিলা। নিয়ম করে চার বয়সে ভর্তি করলেন স্কুলে। হ্যাঁ, বাচ্চার পাশে যদি লাড্ডু গোপাল পড়াশোনা করে, চমকে যাবেন না।
সম্প্রতি 'টেক ওয়ান ডিজিটাল নেটওয়ার্ক' নামের একটি পেজের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে অনর্গল বলে চলেছেন তাঁর গোপাল, আদরের কেশবের কথা। নিজের ছেলের মতো লালন-পালন করছেন তাই দায়িত্ব পালনে কোনও খামতি রাখতে চান না।
এই মহিলাই ছেলে গোপালকে স্কুলে ভর্তি করেছেন। ভিডিওতে জানান, প্রথমে এক বছর নিজে পড়াশোনা করিয়েছেন, ঠিক যেমন আর পাঁচটা বাচ্চাকে বাড়িতে পড়ানো হয় ছোটবেলায়। পরে তাকে প্রস্তুত করে স্কুলে ভর্তি করতে গেছেন।
তা স্কুলে তারপর হল কী! সাংবাদিককে মহিলা সাফ জানালেন, স্কুলের ফর্ম তুলেছেন কেশবের নামে। তাকে ভর্তি করেছেন। রেজিস্টারে নামও জ্বলজ্বল করছে। দিব্যি রোজ স্কুলে যায় কেশব। স্কুলের ভর্তির টাকা থেকে মাস মাইনে নিয়মিত তিনি সবই দেন। বই-খাতা কিনেছেন। সেগুলো নিয়ে দিব্যি পড়াশোনা করে তাঁর চার বছরের 'ছেলে'।
এনিয়ে মহিলা বলেন, 'কেশব ২০১৯-এ আমার কোলে এসেছিল। ও আমার ছেলে, মূর্খ তো থাকতে পারে না। ওকে আমি পড়িয়েছি এক বছর। এবার যখন ওর বয়স চার হল, দেওয়ালবাগে একটা স্কুল আছে, সেখানে ওকে ভর্তি করে দিই। ওর ফর্ম ভরে দেওয়া থেকে যা যা স্কুলে ভর্তি করতে গেলে দরকার ছিল, সব করি। স্কুলে ওর মাইনে দিই। ওর বই-খাতা আছে। কেনা হয়েছে। ও পড়তে বসে।'
আচ্ছা, তাহলে পরীক্ষা এলে কী হবে, কেশব কি পরীক্ষাতেও বসবে? নেটিজেনদের এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিওটি (সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল) শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন মন্তব্যে ছয়লাপ কমেন্ট সেকশন। মূলত কটাক্ষই করেন সকলে। একজন লেখেন, 'দয়া করে কোনও অনাথ শিশুকে দত্তক নিন। গোপালজির পড়াশোনার দরকার নেই।'
আরেকজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'পড়াশোনা জানি, এটা ভেবে লজ্জা লাগছে। স্কুলটা আবার ভর্তি করার টাকা নিয়েছে। মাইনে নেয়। কারা পড়ায়? ভালই ব্যবসা চলছে।' আরেক ধাপ এগিয়ে আরেক নেটিজেনের পরামর্শ, 'এবার একটা চাকরির খোঁজ করুন।'
এসবের উত্তর অবশ্য ওই মহিলা বা পেজের তরফে দেওয়া হয়নি।