শেষ আপডেট: 22nd March 2024 12:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রামায়ণে বর্ণিত রাবণের সেই ‘পুষ্পক রথ’ থেকেই নামটা ধার করা। এই পুষ্পকে চেপেই নাকি সীতাকে হরণ করেছিলেন রাবণ। পরে লঙ্কা জয় করে রাম-লক্ষণ-সীতা সেই পুষ্পক রথে চেপেই অযোধ্যায় ফিরে আসেন। পুরাণে বর্ণিত উড়ন্ত রথকে আকাশযানের রূপ দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ‘পুষ্পক’ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রথম ‘রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিকেল্’ (আরএলভি)। আসলে পুনর্ব্যবহার্য মহাকাশযান। একবার মহাকাশে গিয়ে ফিরে আসতে পারবে এই মহাকাশযান।
শুক্রবার সকালে কর্নাটকের চিত্রদুর্গের ‘অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ’ থেকে ‘আরএলভি এলইএক্স-০২’-র ল্যান্ডিং সফল হয়েছে। এসইউভি-র সাইজের এই মহাকাশযানকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলি পেরিয়ে আরও উপরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সফলভাবে মাটিতে অবতরণ করানো হয়েছে। বায়ুসেন্রা চিনুক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশে ওড়ানো হয় পুষ্পক তথা 'আরএলভি এলইএক্স-০২' মহাকাশযানকে।
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, রানওয়ে থেকে চার কিলোমিটার দূরে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহাকাশযান একেবারে নিখুঁতভাবে রানওয়েতে অবতরণ করেছে। সোমনাথ জানাচ্ছেন, পুষ্পকের মতো আরএলভি-কে মহাকাশ থেকে মাটিতে ফেরত আনার প্রযুক্তি এবার ভারতের হাতেও চলে এল। সাধারণত কোনও মহাকাশযানকে মহাকাশে পাঠাতে হলে রকেটে চাপিয়ে নিয়ে যেতে হয়। কাজ হয়ে গেলে সেটি মহাকাশেই থেকে যায়। সেই যানকে ফের পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের কাছে ছিল না। এই প্রথমবার পুনর্ব্যবহার্য মহাকাশযান তৈরি হয়েছে যাকে একবার মহাকাশ অভিযানে পাঠানোর পর ফের নতুন করে মহাকাশে পাঠানো যাবে। এতে যেমন খরচ কমবে, তেমনি মহাকাশে বর্জ্য কম জমা হবে।
RLV-LEX-02 Experiment:
— ISRO (@isro) March 22, 2024
????????ISRO nails it again!????
Pushpak (RLV-TD), the winged vehicle, landed autonomously with precision on the runway after being released from an off-nominal position.
????@IAF_MCC pic.twitter.com/IHNoSOUdRx
ভারতে প্রথম ‘রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিকেল’-এর টেস্ট-রান হয় ২০১৬ সালে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উড়েছিল ‘রথ’। সাফল্যের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের 'ভার্চুয়াল রানওয়ে'-তে অবতরণও করেছিল। গত বছরের ২ এপ্রিল চিত্রদুর্গের অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ থেকেই দ্বিতীয় পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ভেহিকেলের নাম দেওয়া হয়েছিল 'আরএলভি এলইএক্স'। সেটিকে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষাতেও সাফল্য এসেছিল। এবছর চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা হয়েছে। মহাকাশযানের নাম রাখা হয়েছে পুষ্পক। এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো।