শেষ আপডেট: 9th November 2024 13:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চুমু খাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানের টিনেজাররা! তথ্য তেমনই বলছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে হাই স্কুলে পড়া পাঁচজন ছেলের মধ্যে একজনের মাত্র প্রথমবার চুম্বনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। পরিসংখ্যান তাক লাগানো। মহিলাদের সংখ্যাও এক্ষেত্রে অনেকটাই কম।
সম্প্রতি জাপান অ্যাসোসিয়েশন ফর সেক্স এডুকেশনের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয় এই বিষয়ের ওপর। সেখানকার মাইনিচিতে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, ২০২৩-এ ১২ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ২২.৮ শতাংশ ছেলে প্রথমবার চুমু খেয়েছে। আর মেয়েদের মধ্যে ২৭.৫ শতাংশ প্রথমবার চুম্বনে লিপ্ত হয়েছে।
২০০৫ সালের পরিসংখ্যানের নিরিখে সংখ্যাটা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ২০২৩-এ সেই সংখ্যা কমেছে। সঙ্গমের ক্ষেত্রেও কমেছে এই সংখ্যা। দেখা গিয়েছে, ২০২৩-এ হাই স্কুলে পড়ে এমন ছেলেদের মধ্যে ১২ শতাংশ সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে। মহিলাদের মধ্যে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৩-এ।
করোনা ফলে স্কুল বন্ধ ছিল এই সময়ে ও তার আগেও। বাড়িতেই থাকতে হয়েছে এই সময় সকলকে। এই পরিসংখ্যানের পিছনে এই কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে। তাঁরা তিনটে সি-কে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন। ক্রাউডেড প্লেস, ভিড়ে ভরা এলাকা, জায়গা ও ক্লোজ কন্ট্যাক্ট।
একজন কলাম লেখক এনিয়ে আবার বলেছেন, জাপানে কমেছে জন্মহার। কারণ তাদের মধ্যে বাড়িতে থেকে সেক্সুয়াল কন্টেন্ট দেখার প্রবণতা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, মানুষ যে বাস্তব থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, এটা তার প্রমাণ। তাঁর আশঙ্কা, যদি এমন হতে থাকে টিনেজারদের মধ্যে, এই প্রবণতা বাড়তে থাকে, তাহলে আরও কমতে পারে জন্মহার। ফলে ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে পড়বে।
জাপানের সরকারি তথ্যও বলছে, এই দেশে কমেছে খুদে জন্মের সংখ্যা। ২০২৩-এ মাত্র ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১ জনের জন্ম হয়েছে। যেখানে ৬৫-র ওপর মানুষজনের সংখ্যা প্রায় ৩৭ কোটি। যা ভাবাচ্ছে সেদেশকে।
এই নিয়ে কী পদক্ষেপ সেখানকার সরকার করেছে, সেবিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।