Date : 12th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
Eng vs Ind: বুমরাহর দাপটের পর ভারতকে টানছে রাহুল-পন্থ জুটিঘটকালির ছকে প্রেমের ফাঁদ! ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয়, ৪৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পগারপার পাত্রফের শহরে সিভিক ভলান্টিয়ারের 'দাদাগিরি'! ৬টি ধারায় মামলাভিন্ন ধর্মে বিয়ে, মেয়ের কুশপুতুল দাহ করলেন বাবা, চাঞ্চল্য রাজগঞ্জেস্ত্রীকে নির্যাতন, পরকীয়ার অভিযোগে পদ খোয়ালেন তৃণমূল ব্লক সভাপতিরাস্তায় যৌন হেনস্থা, ঠাটিয়ে চড় ফতিমাকে! শিউরে ওঠা ঘটনার বিবরণ দিলেন অভিনেত্রীচিকিৎসককে হুমকি, কাঞ্চনের 'অপরাধ' দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি! দিলেন ব্যাখ্যাওWorld Kebab Day: আজ বিশ্ব কাবাব দিবস, সপ্তাহান্তে লোভাতুর বাঙালির জন্য রইল শহরের ৫ দোকানের হদিসLocal Trains Cancel: আবার একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরাছিল তিন, হল চার, পুজোর ছবিতে নাটকীয় এন্ট্রি নিলেন দুঁদে গোয়েন্দা! চিন্তায় প্রযোজকরা
Fish Endure Pain

মাছও ব্যথা পায়! মৃত্যুর আগে ২০ মিনিটের যন্ত্রণা, গবেষণায় ধরা পড়ল নয়া তথ্য

আন্তর্জাতিক জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে (Scientific Reports) প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রেইনবো ট্রাউটকে মারার পর  তারা কমপক্ষে ২ মিনিট থেকে সর্বাধিক ২০ মিনিট পর্যন্ত যন্ত্রণা সহ্য করে। 

মাছও ব্যথা পায়! মৃত্যুর আগে ২০ মিনিটের যন্ত্রণা, গবেষণায় ধরা পড়ল নয়া তথ্য

ফাইল চিত্র- রেইনবো ট্রাউট

শেষ আপডেট: 14 June 2025 11:15

দ্য ওয়াল ব্যুরো: খাবারের তালিকায় মাছ আমাদের প্রায় সকলরেই পছন্দ। রুই, কাতলা কিংবা কোনও সামুদ্রিক মাছ, পাতে পড়লেই খুশি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছি, এই মাছগুলো আমাদের প্লেটে আসার আগে কতটা যন্ত্রণা সহ্য করে? এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। খাবারের জন্য যখন মাছ মারা হয় (Fish Endure Intense Pain Up To 20 Minutes When Killed), তখন তারা ২০ মিনিট পর্যন্ত তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করে। রেইনবো ট্রাউট (Rainbow Trout) নামের মাছটির ওপর চালানো গবেষণায় এই চিত্র সামনে এসেছে।

আন্তর্জাতিক জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে (Scientific Reports) প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রেইনবো ট্রাউটকে মারার পর  তারা কমপক্ষে ২ মিনিট থেকে সর্বাধিক ২০ মিনিট পর্যন্ত যন্ত্রণা সহ্য করে। এই গবেষণাটি বিশেষভাবে প্রচলিত মাছ মারার পদ্ধতি 'এয়ার অ্যাসফিক্সিয়েশন' দ্বারা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতিতে জল এবং অক্সিজেন ছাড়াই মাছগুলিকে ফেলে রাখা হয়।

এতে দেখা গিয়েছে, রেইনবো ট্রাউট (Rainbow Trout) এই পদ্ধতিতে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত গড়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার যন্ত্রণা সহ্য করে। প্রাণী কল্যাণ সংগঠনগুলি এই পদ্ধতিকে ‘অমানবিক’ বলে চিহ্নিত করেছে এবং দ্রুত এটি বন্ধের দাবিও জানিয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, 'মাত্র ৬০ সেকেন্ডের এয়ার এক্সপোজার (হাওয়ায় ফেলে রাখা) মাছের শরীরে এমন চাপ সৃষ্টি করে যা দীর্ঘ সময়ের মানসিক ও শারীরিক চাপের থেকেও বেশি ক্ষতিকর। আরও একটি যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি হল, মাছকে মারতে বরফ জল ব্যবহার করা। এতে মাছের বিপাকক্রিয়া ধীরে চলে ফলে তারা অনেক সময় ধরে যন্ত্রণা সহ্য করে।

গবেষণার মাধ্যমে মাছকে মারার কিছু বিকল্প পদ্ধতিও সামনে এসেছে। যেমন- যন্ত্রণা কমাতে বিদ্যুতের ব্যবহার করা যেতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সঠিকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে মাছকে অজ্ঞান করলে তাদের ব্যথা অনেক কমানো যায়। এই পদ্ধতিতে ব্যথা প্রায় ১ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত রোধ করা সম্ভব, যদি তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়।

এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভ্লাদিমির আলোনসো । তাঁর কথায়, 'এই গবেষণা আমাদের দেখায়, কোন কোন জায়গায় আমরা বেশি প্রভাব ফেলতে পারি, এবং কোথায় অর্থ খরচ করলে প্রাণীদের জন্য ভাল ফল পাওয়া যাবে।'

প্রতিবছর খামারে চাষ হওয়া ১৭১ বিলিয়ন মাছ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে মোট সংখ্যাটা আরও বড় বলেই জানা গিয়েছে। গবেষকদের মতে, এই বিশাল সংখ্যক মাছের যন্ত্রণার কথা মাথায় রেখে আরও মানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন।


ভিডিও স্টোরি