শেষ আপডেট: 14th December 2024 19:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অস্ট্রেলিয়ার সরকার সম্প্রতি ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর পরেই তরুণদের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা হয়েছে। তবে তরুণদের পাশাপাশি আরও অনেক বয়সের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল ২০২৪ রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭৮.৩% অস্ট্রেলিয়ান নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ বয়সে অনেক বেশি। যেমন- ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ২১.৩%। তাঁরা মেটা (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম)-এর বিজ্ঞাপন দেখেন বলেই জানা গিয়েছে সমীক্ষায়।
বয়সকালে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার
বর্তমানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের ৭০% সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, যা আগে ছিল না। বিশেষ করে ফেসবুক তাঁদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। সাধারণত তাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করছেন, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আর নাহলে নতুন বন্ধু তৈরি করতে।
বয়স্কদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা
সম্প্রতি ২৩টি দেশের মধ্যে একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। তার মূল বিষয় ছিল, বয়স্কদের উপর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব কতটা পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। গবেষণার পর দেখা গিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া তাঁরা পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের ছবি এবং ভিডিও দেখতে পান। বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলির সাহায্যে অবসর সময়ে বিনোদনের সুযোগ পান। ফলে তা একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করছে।
নতুন কমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে ফেসবুক। অর্থাৎ গার্ডেনিং, ফটোগ্রাফি বা ভ্রমণ এসব গ্রুপে থেকে বিভিন্ন মানুষের ছবি ও গল্প জানতে পারেন। তার সঙ্গে সঙ্গে সে সব গ্রুপে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ারও করতে পারেন। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু সমস্যা রয়েছে। গোপনীয়তা লঙ্ঘন, মিথ্যা তথ্য এবং অনলাইন জালিয়াতির মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।