দীর্ঘদিন ধরে চুরি করছিল ওই যুবক। কিছুতেই তাকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। কারণ চুরি করার সময় নিজের চেহারা বদলে ফেলত ওই অভিযুক্ত।
পরচুলা দিয়ে টাক ঢেকেও শেষমেশ পুলিশে জালে যোগেশ
শেষ আপডেট: 17 May 2025 15:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাথাভরা টাক (bald), তাই নিজের আসল পরিচয় গোপন করতে মাথায় পরচুলা (detachable hair patch) লাগানোই একমাত্র উপায়। এতদিন এই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে একাধিক চুরি (theft) করেছে সে। আক্ষরিক অর্থে তার টিকিটাই খুঁজে পায়নি পুলিশ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দিল্লির বাসিন্দা যোগেশ কুমার রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুর (Jaipur) শহরে একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটা ঠিক কী?
দীর্ঘদিন ধরে চুরি করছিল ওই যুবক। কিন্তু কিছুতেই তাকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। কারণ চুরি করার সময় নিজের চেহারা বদলে ফেলত ওই অভিযুক্ত। মাথাজুড়ে রয়েছে টাক, তাই চুরির সময় পরচুলা পরে আসল রূপ আড়াল করত সে। এতকিছু করেও বেশিদিন আড়ালে রাখা গেল না পরিচয়। চতুর এই অপরাধীকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে জয়পুর পুলিশ।
জওহর সার্কেল থানার অফিসার জানান, সম্প্রতি বিলাসবহুল এক আবাসনে একের পর এক চুরির ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। জয়পুরের পুলিশ উপ-কমিশনারের নির্দেশে একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়। সেই টিমের তৎপরতায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির সদর বাজার এলাকার বাসিন্দা যোগেশ কুমারকে।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি থেকে ট্রেনে করে জয়পুর আসত যোগেশ। শহরের অভিজাত ফ্ল্যাট ও আবাসিক এলাকায় নজর রেখে, সুযোগ বুঝে চুরি করত সে। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার, চুরির সময় তিনি মাথায় লাগাতেন হেয়ার প্যাচ (detachable hair patch) যাতে তার টাকামাথা দেখে চেনার উপায় না থাকে। চুরি করার পর আবার নিজের স্বাভাবিক চেহারায় ফিরে যেত, যাতে সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও কোনও হদিশ না পাওয়া যায়।
কীভাবে ধরা পড়ল যোগেশ?
৮ মে জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে চুরি করেন যোগেশ। সেখান থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে সে। এই ঘটনার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের গতিবিধি শনাক্ত করে। তারপর ধরা পড়ে সে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যোগেশ স্বীকার করে, জয়পুরের বিভিন্ন এলাকায় এত চুরি করেছে সে যে আলাদা করে বিশেষ কোনও জায়গার কথা তার মনে নেই।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দিল্লিতেও তার বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি চুরির মামলা নথিভুক্ত রয়েছে।