টিন্ডার ‘ইমোশনাল ব্যাগেজ ডিসপোজাল ইউনিট’
শেষ আপডেট: 26 April 2025 15:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দৌলতে অ্যাপের সঙ্গে মানুষ পরিচিত হতে শুরু করেছিল সবে। তখন ‘টিন্ডার’ (Tinder) এসে বদলে দিয়েছিল ডেটিং কালচারের (Dating culture) পুরো ধারণটাই। টিন্ডার-ই প্রথম মানুষকে বুঝিয়েছিল ‘লেফট-রাইট’ (left swipe right swipe) করে শুধু রাস্তাঘাটে গলিগালা নয়, জীবনে মানুষের অবস্থানও পাল্টে ফেলা যায়। অন্য কোথাও পৌঁছে যাওয়া যায় কারও হাত ধরে।
প্রেম যখন হয়েছে, কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি যে সেই প্রেম সারাজীবন টিকবে। তাই ‘পেরেম কাঁচি’ (break up) হয়ে যাওয়ার পর শুধু স্মৃতিটুকুই যথেষ্ট ‘হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগানোর’ জন্য। প্রেমিক বা প্রেমিকার (lovers) দেওয়া উপহার (gifts) সেখানে বাড়তি কষ্ট। কী করা যায় সেসব নিয়ে! তাই এবারও সহায় সেই টিন্ডার। তারা এনেছে ‘ইমোশনাল ব্যাগেজ ডিসপোজাল ইউনিট’ (emotional baggage disposal unit)। ময়লা ফেলার এক ট্রাককে (truck) সুন্দর রং করে রীতিমতো বদলে ফেলা হয়েছে। সেখানে আপনি জমা করে দিতে পারেন যাবতীয় উপহার, সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা জিনিস যা এখন আপনার কাছে এখন মূল্যহীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় টিন্ডারের এই অভিনব প্রচার দারুন সাড়া ফেলে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। দেশের বড় বড় শহরগুলোতে মানুষ এসে জমা করে যাচ্ছেন এক্সের দেওয়া টেডি থেকে শুরু করে কার্ড, চিঠি, হুডি- আরও কত কী।
নতুন ধরনের এই প্রচার কৌশল দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত শহরের মানুষ। কেউ বলেছেন, ‘এ তো দারুণ ক্রিয়েটিভ ব্যাপার স্যাপার’, আবার কেউ ব্যঙ্গ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘সব বুঝলাম, কিন্তু মন থেকে কী করে সরাবে তাকে!’ গুরগাঁওয়ের এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘একবার এদিক থেকেও ঘুরে যান দাদা।’ তার মধ্যেই একজন আবার বলেছেন, ‘আমার কাছে তো ফেলে দেওয়ার মতো এসব কিছুই নেই, আমার জন তো আমাকে কিছুই দেয়নি।’
View this post on Instagram
‘খুল্লাম খুল্লা পেয়ার করেঙ্গে হাম দোনো…’ ঋষি-নীতু সেই কবে বলে গেলেও, খোলাখুলি প্রেম করতে গেলে যুগে যুগে হাজারো ঝামেলা পেরিয়ে আসতে হয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের। তারপর ২০১২ সাল নাগাদ এল টিন্ডার, যখন ছেলেমেয়েরা বুঝল ‘আরে! এভাবেও মনের মানুষ পাওয়া যায়! দু’টো মানুষের মাঝে কিউপিড হওয়ার দায়িত্ব তারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিল। এবার ‘ঘেঁটে ঘ’ পরিস্থিতি থেকে মানুষকে সারিয়ে তুলতে নতুন উদ্যোগেও একইভাবে উৎসাহী টিন্ডার।
গীত তো আদিত্যকে সেই কবেই বলেছিল ফোটো জ্বালিয়ে কমোডে ফ্লাশ করে দিতে, তাতে নাকি আসলেই হালকা লাগে। আবার আদিত্যর কথা অনুযায়ী, ফোন করে তেড়ে গালাগালও অপশনে ছিল। কিন্তু সেই সব যদি আপনার অপশনে না থাকে, তাহলে টিন্ডারের ওই গোলাপী ট্রাক কলকাতায় এলে এটার কথা একবার ভেবে দেখতেই পারেন। জীবনের লম্বা দৌড়ে এটা কাজে লাগবে কি না সেটা তো মানুষই বলবে, তবে মজা করে হলেও ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের অদ্ভুত এই মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যে সবার পছন্দ হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।